২০২৪ সালের মধ্যে নভোচারীদের চাঁদে ফিরিয়ে নিতে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, চাঁদ মঙ্গলেরই একটি অংশ মাত্র। চাঁদে অভিযানে পূর্বের সমর্থন প্রত্যাহার করে এর চেয়ে আরো বড় কোনো বিষয়ে সংস্থাটিকে মনোযোগ দেয়া আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৭ জুন) স্থানীয় সময় ১১টা ৩৮মিনিটে এক টুইট বার্তায় এই আহ্বান জানান তিনি। ইউরোপ থেকে ফিরে আসার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, এর ফলে, ২০২৮ সালের আগেই অর্থাৎ যেকোনো মূল্যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মানুষকে চাঁদে ফিরিয়ে আনতে তার প্রশাসনের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা প্রশ্নের মুখে পড়ে।
পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টুইট বার্তাটিতে লাইক দিয়েছেন ১০ লাখের মতো অনুসারী। আর এ নিয়ে নানা তির্যক মন্তব্য করেচেন সোয়া সাত লাখের বেশি টুইটার ব্যবহারকারী।
টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, “আমরা যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছি, তার জন্য নাসার অবশ্যই চাঁদের যাওয়ার বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়- আমরা ৫০ বছর আগে এটি করেছি।”
তিনি আরও লিখেন, “মঙ্গলের সঙ্গে (চাঁদ যার একটি অংশ), প্রতিরক্ষা এবং বিজ্ঞানসহ আমাদের বড় কাজগুলোর উপর তাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত!”
অথচ এক মাস আগেই ‘আমরা চাঁদে ফিরে যাচ্ছি’ বলে টুইট করেছিলেন তিনি।
এদিকে আগামী ২০২০ সাল থেকে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এজন্য তাদের প্রতি রাতে গুণতে হবে ৩৫ হাজার ডলার।
স্পেস স্টেশনের উপপরিচালক রবিন গাটেন্স বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’কে বলেন, ‘প্রতি বছর এমন দুটি ছোট সফরের আয়োজন করা হবে। পরবর্তীতে মহাকাশযানে করে আমাদের স্টেশনে আসলে তাদের মোট একমাস পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে।
নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বাণিজ্যিক সফরগুলোর আয়োজনের আগে আগ্রহী পর্যটকদের সব ধরনের মেডিকেল পরীক্ষা ও সার্বিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য বোয়িং এবং এলন মাস্কের স্পেস এক্সকে নিয়োগ দিয়েছে সংস্থাটি। তারা সকল নভোচারীদের কাছ থেকে মহাকাশযানের জন্য আলাদা ভাড়াও নিবে। এরই মধ্যে যার পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ডলার।