গত পাঁচ বছরে ইংল্যান্ডে ডার্ক নেটে মাদক পরিবহন ও বিনিময়ের হার দ্বিগুণ বেড়েছে। মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের বৈশ্বিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মাদক সেবীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গ্লোবাল ড্রাগ সার্ভে জানিয়েছে, বিশ্বের ২০টি দেশের প্রায় ৬০ হাজার মাদকসেবী ডার্ক নেট থেকে মাদক ক্রয় করেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ইংল্যান্ডে ডার্ক নেটে মাদক ক্রোতার সংখ্যা ১২.৪ শতাংশ থেকে ২৮.৬ শতাংশে বেড়ে গিয়েছে।
গ্লোবল ডার্ক সার্ভের প্রতিষ্ঠাতা ড. অ্যাডাম উইনসটোক বলেছেন, এখনো অনলাইনে মাদক কেনা-বেচা করা কতটা ঝুঁকি তা ব্যবহারকারীরা আমলে নিতে পারেননি।
তিনি বলেন, যথন আপনি বায়না করছেন, তখন কিছু লোক জেনে যাচ্ছে যে আপনি অবৈধ মাদক কিনছেন। এবং এরপর আপনার ব্লাকমেল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
বিবিসি পোডকাস্টের দ্যি নেক্সট এপিসোড অনুষ্ঠানে শতাধিক ভেন্ডরের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেল হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
তাদেরই একজন লিওন বলেন, আমি একটি খুবই রাগান্বিত এবং হুমকিযুক্ত বার্তা পেয়েছি। বার্তায় বলা হয়, আমি আপনার ঠিকানা পেয়েছি। হয় আমাকে ন্যাস্টি কিছু পাঠাও তা না হলে এই তথ্য আমি ফাঁস করে দিবো। হুমকি দাতা ছিলো মাতাল ও হেরোইন বিক্রেতা।
কিন্তু যেহেতু ডার্ক নেটে মাদক কেনাটা অপরাধ তাই এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার আইনে নিরাপত্তা পাওয়ার কোনো অবকাশ আমার ছিলো না।
এদিকে গত কয়েক মাস ধরে ডার্ক নেটে অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কেট প্লেস। কিন্তু অভিযান চলার প্রকৃতপক্ষে এই ব্লাকমেইল বা প্রতারণা বেড়ে গিয়েছে।
জনৈক ক্রিপ্টো মার্কেট বিশেষজ্ঞ ক্যালেব ড্যানিয়েল বলেছেন, এই অভিযানে আমরা প্রকৃতপক্ষে কি দেখছি। দেখছি, যখন আরো বেশি ব্যবহারকারী অনলাইনে যাচ্ছে, অবিশ্বস্ত সাইটগুলো ফুলে ফেঁপে উঠছে। ব্লাকমেইল বাড়ছে।