ভিসা আবেদনে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তারিত তথ্য জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য দেওয়ার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করতে ও অনলাইনে কেউ নিজেস্ব মতাদর্শ প্রচার করেছে কিনা তা জানতেই শুক্রবার থেকে নতুন নিয়মটি কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, দেশ-জাতি নির্বিশেষে সকল পর্যটক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদনের ফর্ম পূরণ করার সময় গত ৫ বছরে ব্যবহার করা সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নাম, ইমেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিতে হবে।
গত বছর যখন এই আইনটি প্রস্তাব করা হয়েছিলো, তখন নতুন এই আইনের কারণে প্রতিবছর ১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে অনুমান করা হয়েছিলো।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে স্ক্রিনিং পদ্ধতির উন্নয়নে নিয়ত কাজ করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই নিয়ম আরোপ করা হচ্ছে।
এর আগে শুধু জঙ্গি নিয়ন্ত্রিত দেশগুলোর নাগরিকদেরকেই এসব তথ্য দিতে হতো। কিন্তু এখন থেকে এই নিয়ম সব দেশের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ভিসার আবেদন পত্রে থাকা সোশ্যার মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোর একটি তালিকা থাকবে। সেখানে অ্যাকাউন্টগুলোর নাম দিতে হবে। এছাড়া, তালিকার বাইরে অন্য কোনো সাইটে অ্যাকাউন্ট থাকলেও তা নিজ দায়িত্বে জানাতে হবে।
কোনো ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে তাকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।