এবার করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় ‘ফেস রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চীনা সরকার। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী চীনের ইউনান প্রদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রযুক্তি। পাশাপাশি কিউআর কোড প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে। এর মধ্য দিয়ে ওই ব্যক্তির করোনার পরীক্ষার প্রতিবেদন এবং তিনি কার কার সংস্পর্শে আসছেন তার ওপরও নজরদারি করা হচ্ছে।
এছাড়াও ওই প্রদেশের যেসব এলাকা গুরুত্বপূর্ণ, সেসব এলাকায় ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা, স্মার্ট ডোর লক ও রাস্তায় গতিরোধক ব্যবহার করা হচ্ছে নিরাপত্তার জন্য।
সেখানকার মানুষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এই প্রযুক্তিতে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোড ও ফেস স্ক্যান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ওই প্রদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা রুইলি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, সেখানে যারা প্রবেশ করছেন এবং যারা বের হচ্ছেন, তাদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোড ও ফেস স্ক্যান করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্তে ‘ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে বড় শহরগুলোর মোড়ে মোড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার করছে চীন। এই কাজ করছে চীন ভিত্তিক এআই বিকাশকারী মেগভিই এবং সেন্সটাইম।
খবরে বলা হয়েছে, জনগণকে নজরদারিতে রাখার ক্ষেত্রে অন্য অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে চীন। এ জন্য বিগত পাঁচ বছরে জনসমাগমের স্থানগুলোয় ২০ কোটির বেশি সিসিটিভি স্থাপন করেছে সরকার। বলা হয়ে থাকে, এর মাধ্যমে ‘দেশের প্রায় সব জনসমাগম স্থল’ ক্যামেরার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে চীন সরকার।