দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং ২ হাজারের বেশি হাসপাতালকে ডিজিটাল পদ্ধতির অধীনে নিয়ে আসার হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি আরো জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের চিকিৎসা খাত পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। প্রযুক্তির বন্ধনে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে দেশের প্রতিটি হাসপাতাল।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন,সেন্ট্রালাইজড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস সফপওয়্যারের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক হেলথ, মেডিসিন ও ডায়াগনসিস রেকর্ডগেুলো যেন সরকারি ও বেসিরকারি হাসপাতালের মধ্যে তথ্য আদানা-প্রদানের ইন্টারঅপারেবল সিস্টেম ব্যবহার করে প্রত্যেক নাগরিক যেন তার হেলথ রেকর্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে পারেন সে উদ্যোগ নেয়া হবে। এজন্য আমারা সমন্বিত ভাবে প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকার ডিজিটাল হেলথ ফর নেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এর অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেট মেডিকেলে ৩০ ধরনের স্থাস্থ্য সেবা ডিজিটাল করা হচ্ছে।
বুধবার করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি আরো জানান, আইসিটি বিভাগের নিজস্ব উদ্যোগে গত ১৬ মাসে ৩৩৩ -তে ৬০ লাখ মানুষ সেবা নিয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপে ৯৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধিত হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-জেনারেশন নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান দেশে রোগীকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বেছে নিতে এআই ব্যবহার, চিকিৎসকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য চ্যাটবট চালুর মতো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এ বিএম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক প্রমুখ সংযুক্ত ছিলেন।