নিজেদের পেমেন্ট ফার্ম রিপল এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) মামলা করার পরও এশিয়া প্রশান্ত মহসাগরীয় অঞ্চলে ব্লকচেইনের বিকাশে কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন রিপল এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্র্যাড গারলিং হাউস।
ডিসেম্বরের শেষের দিকে জামানতের ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনিবন্ধিত ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সআরপির সাথে যুক্ত করার বিষয়ে রিপল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।
এরপর, বাজার মূল্যে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েনবেস এক্সআরপি-তে লেনদেন বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে রিপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্র্যাড গারলিং হাউস ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেন, ‘এই মামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেছে, কিন্তু এশিয়া প্যাসিফিকে আমাদের জন্য যা ঘটছে তার উপর এর কোন প্রভাব পড়েনি।’
তিনি বলেন, “আমরা এশিয়া এবং জাপানে ব্যবসা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। কারণ, ওই সব বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের স্বচ্ছতা রয়েছে।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে লেনদেন হওয়ায় এক্সআরপি ট্রেডিং বন্ধ করে দিয়েছিল এমন বিষয় তিনি জানতেন না বলেও সাফাই গেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “এক্সআরপি বিশ্বব্যাপী ২০০টিরও বেশি এক্সচেঞ্জে লেনদেন করে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র তিন-চারটি এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে। ”
ডিসেম্বরে এসইসি কর্তৃক অভিযুক্ত সংস্থার দুই নির্বাহীর মধ্যে গারলিংহাউস অন্যতম।
সারা বিশ্বের আর্থিক নিয়ন্ত্রকরা সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে কিভাবে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণ করবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি মূলধারার সম্পদে পরিণত হবে নাকি নিশ পণ্য হিসেবে থাকবে সেটাই মূল্যায়নে মনোযোগ দিয়েছেন বোদ্ধারা।
এসইসির নেতৃত্ব দেয়া জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোনীত প্রার্থী গ্যারি জেন্সলার তার কংগ্রেশনাল কনফার্মেশন শুনানির সময় ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারের জন্য “নির্দেশিকা এবং স্বচ্ছতা”দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন
যদিও বিটকয়েন মার্কিন আর্থিক নিয়ন্ত্রক দ্বারা একটি পণ্য বিবেচনা করা হয়, অধিকাংশ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এখনও পণ্য বা সিকিউরিটিজ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।
এসইসি মামলা করার সময় বিশ্বব্যাপী ব্যাংকগুলোর সাথে ১৫টিরও বেশি নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উল্লেখ করে গার্লিং হাউস বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে যুক্তরাষ্ট্রে স্বচ্ছতার অভাব উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি “বাধা” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা দেখছি এক্সআরপি’র তারল্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এশিয়ায় ক্রমাগত বাড়ছে। বিশেষ করে জাপানে।”