নিরাপত্তা ও সেবার ক্ষেত্রে উবার সার্ভিসকে ঝুঁকি পূর্ণ মনে করছে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন। আর সে কারণেই দ্বিতীয় দফায় লন্ডনে উবারের লাইসেন্স নিষিদ্ধ করা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লন্ডনের যানবাহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা টিএফএল।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে আদালতেরে দ্বারস্থ হয়েছে অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সেবার নেটওয়ার্ক উবার।
সোমবার থেকে নিয়ন্ত্রক টিএফএল-এর উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয়ে ব্যাখা দিতে শুরু করেছে উবার কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে শুনানি। এরপরেই নির্ধারিত হবে লন্ডনে উবারের ভাগ্য।
এরআগে ২০১৭ সালে প্রথম উবারের লাইসেন্স নবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো টিএফএল। তখন যাত্রীর নিরাত্তায় উবারের সিস্টেম ব্যর্থ বলে দাবি করা হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো, তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উবারের সিস্টেম অননুমোদিত চালকদের অন্যান্য ড্রাইভার একাউন্টে তাদের ছবি আপলোড করার অনুমতি দেয়। এবং এভাবেই প্রতারণামূলকভাবে কমপক্ষে ১৪ হাজার যাত্রীকে পরিবহন করেছে।
টিএফএল-এর লাইসেন্স, রেগুলেশন এবং চার্জিং-এর পরিচালক হেলেন চ্যাপম্যান সিএনবিসিকে এক ইমেইলে বলেছেন, “আমরা উবারকে ২৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে একটি নতুন প্রাইভেট হায়ার অপারেটরের লাইসেন্স বলবৎ রাখার উপযুক্ত কারণ বা যথার্থতা খুঁজে পাইনি। তবে উবার আদালতে একটি আবেদ করেছে। এখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট তারা সেবা দেয়ার জন্য উপযুক্ত অথবা যোগ্য কিনা তা যাচাই করে দেখবেন।”
২০১৭ সালে যখন উবার প্রথম তার লাইসেন্স হারায়, তখনও কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠাতা ট্রাভিস কালানিক এর পরিবর্তে দারা খসরুশাহীকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করছিল। খসরুশাহীর অধীনে উবার নিয়ন্ত্রকদের শত্রু হওয়ার বদলে বন্ধু হিসেবে তার ভাবমর্যাদা সংস্কারের চেষ্টা করেছে। আদালতে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করার পর ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৫ মাসের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে দুই মাসের লাইসেন্স পায়।
উবার এখন লন্ডনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। এখন আর কোন লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও টিএফএল-এর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করে যুক্তরাজ্যের রাজধানীতে সেবা অব্যাহত রেখেছে।