আজ রবিবার শেষ হচ্ছে চারদিনব্যাপী বেসিস সফট এক্সপো। সন্ধ্যায় মেলার সমাপনী অধিবেশনে জানা গেলো, রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত হলেও মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যার চেয়েও ব্যবসায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বেশি। চার দিনে মেলায় অংশ নেয়া ২০৪টি স্টল থেকে ১২০ কোটি টাকার চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে।
সমপনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সবচেয়ে বড় অংশীদার হবে বেসিস। সেই সাহস নিয়ে এতো প্রতিকূলতার মধ্যে আমরা দেশের সর্ববৃহৎ এই মেলা করেছি। আমরা পেরেছি।
‘রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং আমদানি ব্যয় কমাতে গত চারদিন ধরে আমরা আলোচনা করেছি। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিলো- ঢাকা থেকে এতো দূর আসবে। কিন্তু আমরা জানি, উপলক্ষ্য থাকলে মানুষ অবশ্যই আসবে। আমরা সেই উপলক্ষ্যগুলো করেতে পেরেছি’-যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, মেলার দ্বিতীয় দিন আমাদের এক্সপেক্টেড ক্রাউড ছিলো ৫০ হাজার। কিন্তু আজকে পর্যন্ত আমাদের দর্শনার্থী কার্ড ব্যবহৃত হয়েছে ৯০ হাজার। এই মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ৯২ হাজার ++। এক্সপোতে প্রায় ২০টি মতো সেমিনার ও ওয়ার্কশপ থেকে আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, যদি আমরা গবেষণা ও উন্নয়ন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন এবং চাহিদা সৃষ্টি যোগান দেয়ার মতো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা গেলে ২০৩১ সালের মধ্যে যে সম্ভাবনা রয়েছে সেই নৌকাটা যদি আমরা মিস না করি তবে ২০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করা সম্ভব।
রাসেল আরো বলেন, সক্ষমতা এবং সম্ভাবনা বিচার করে আমরা দেখেছি আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই বছরের ডিসেম্বরের আগেই থ্রি বাই থ্রি ফর্মুলায় গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ক রূপকল্প ডেলিভার করতে পারবো। আমাদের ওপর আস্থা রাখলে আমরা কোনো ভাবেই তার প্রতিদান দিতে পিছুপা হবো না।
মেলার উপাত্ত তুলে ধরে রাসেল বলেন, ‘গতকাল ও আজ ২০৪টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ভিজিট করে জানতে পেরেছি স্থানীয় ও আন্তর্জাকতিক বাজার থেকে এই কোম্পানিগুলো ১২০ কোটি টাকা মূল্যের লিড জেনারেশনের মতো প্রোটেনশিয়াল পেয়েছে। আমাদের এখন প্রমাণ করা বিষয়। সেই হিসেবে আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম আমাদের দেশ প্রেম। এই ভাষার মাসেও আমরা পারি। বঙ্গবন্ধুর কথা মতোই আমরা বলতে চাই আইসিটি শিল্পকেও দাবায়ে রাখতে পারবে না, যদি আপনাদের অল্প একটু সহযোগিতা আমরা পাই ।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।