প্রযুক্তির কল্যাণে ঢাকায় বসে অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দেওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের পুনর্ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন ভবনের পঞ্চম তলায় কন্ট্রোল রুমে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠের নির্বাচন পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ করছেন কমিশন সচিবরা।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন সচিবদের নিয়ে এই পর্যবেক্ষণ কাজ শুরু করেন। এসময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা ও নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেখা যায়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই পর্যবেক্ষণ চলবে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। গাইবান্ধার এ আসনে মোট ৩২টি চরাঞ্চল রয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রে ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সকাল ১০টা দিকে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে মানুষদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়। ওই সময় পর্যন্ত নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ নির্বাচনী আসনটিতে মোট ১৭টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৫টি। ভোটকক্ষ রয়েছে ৯৫২টি। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়ম চিত্র সামনে এলে ভোট চলাকালেই নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।
প্রসঙ্গত, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন এবং এর আগে বাতিল হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা-৫ আসনে পুনর্নির্বাচনের ভোটও সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে।