মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইয়ের পর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পরিবর্তন করে বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আটক ব্যক্তিদের গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে হাজির করা হয়। এসময় র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা ছিনতাই ও চোরাই মুঠোফোন অল্প দামে ক্রয় করে আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রি করে।
র্যাব বলছে, চক্রের প্রধান গ্রেপ্তার আবুল হোসেন (২৮)। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ও ছিনতাই হওয়া মুঠোফোন আবুল হোসেনের দলের সদস্যরা অল্প দামে ক্রয় করেন। তারপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ভাসমান দোকানে বিক্রি করা হয়। গ্রেপ্তার এই চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন নজরুল ইসলাম (৪৬), তাজুউদ্দিন আহম্মেদ (৪৮), মাঈনউদ্দিন (৩০), সুজন মিয়া (২৩), মো. মানিক (৩০) ও লিটন মিয়া (৪০)। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বনানী ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬৫টি ট্যাব, ১ হাজার ৩৩২টি মুঠোফোন, ৬টি সিম কার্ড ও ২০ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের পর আজ সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব চোরাই মুঠোফোনের মূল ক্রেতা স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। আইএমইআই পরিবর্তন করায় এসব মুঠোফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
আইএমইআই ১৫ ডিজিটের একটি নম্বর। এটি মুঠোফোনের সেট তৈরির সময় প্রোগ্রাম করা হয়। এই নম্বর দিয়ে মুঠোফোনটি শনাক্ত করা যায়। এ নম্বরের মাধ্যমে জানা যায়, ফোনটি কোন কারখানায় তৈরি হয়েছে এবং কোন এলাকায় ব্যবহার করা যাবে।