খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর কৃষিতে সফলতার জন্য বাংলাদেশি কৃষি বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সরকার প্রধান।
গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “একটি বীজ যখন আপনি আবিষ্কার করেন, উদ্ভাবন করেন, সেটার যখন উৎপাদনটা হয়, ধীরে ধীরে কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণটা কমতে থাকে। এজন্য সব সময় গবেষণাটা অব্যাহত রাখতেই হবে।”
এ সময় খাদ্য উৎপাদন ও কৃষির আধুনিকায়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষি বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা (৩৩৩১), কৃষকের জানালা, কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩) মাধ্যমে কৃষকদের সাথে তথ্য আদান-প্রদানের ব্যবস্থা, প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষককে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা, উন্নত বীজ ও সার সরবরাহ, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, কৃষি যান্তিকীকরণসহ কৃষি সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বীজ উৎপাদনে বিভিন্ন গবেষণা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বীজ আমরা উৎপাদন করবো, আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকবো না। … সরকারিভাবে উৎপাদন করবে, বীজ মানসম্পন্ন বীজ সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘বঙ্গবন্ধু ধান-১০০’ অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা চাহিদার উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ধান উৎপাদনে তৃতীয়, শাকসবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন করেছি।’
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম।