কাল বিলম্ব না করে মুক্তিযুদ্ধের ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরি করে এ বিষয়ক কনটেন্টকে কপিরাইট মুক্ত রাখা এবং জাল-জাতিয়াতিতে সকলের সচেতনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। উৎস থেকে যেনো মুক্তিযুদ্ধে ছবি-ভিডিও সংরক্ষণ এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনলাইন কনটেন্ট নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কনটেন্ট গবেষক অমি রহমান পিয়াল।
রবিবার প্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন টেকনলোজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) আয়োজিত “মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক অনলাইন কনটেন্ট বনাম তথ্যবিভ্রাট ও গুজব বিড়ম্বনা” বিষয়ক ওয়েব আলোচনায় এই দাবি জানান তিনি।
তার এই দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে অনলাইন প্লাজারিজম রোধে সাবলিমেন্টারি ইনফরমেশন নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন। এ জন্য একটি ডেটা আর্কাইভ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
নৈতিক ভিত্তি ছাড়া প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল কারসাজি পুরোপুরি রুখে দেয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করেন এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক) নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পলিসি চেয়ার সুমন আহমেদ সাবির। এজন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক ফায়দা হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ না রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ফ্লিকারে না দিয়ে সরকারি ওয়েবসাইটে মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্ট সংরক্ষণের আহ্বান জানান বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গুজব এর গজব থেকে রক্ষা করতে সঠিক তথ্য এসইও এবং মেটাডেটা তৈরি করে তা অংশীজনদের মধ্যে শেয়ার করার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোসিং (বাক্কো) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন।
ইন্টারনেট দুনিয়ার অপরাধ ঠেকাতে র্যাব ২৪ ঘন্টা সাইবার পেট্রোল করে জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাইবার অপরাধ দমনে দেশে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি র্যাবের রয়েছে। এক্ষেত্রে র্যাব সবচেয়ে এগিয়ে আছে। ২৪ ঘন্টার সাইবার পেট্রোলিং করা হয়। সর্বপ্রথম রাষ্ট্রিয় সুনাম বিনষ্টকারীর বিরুদ্ধে অগ্রণী ভুমিকা নেয়া হয়। পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ের সহায়তাও চলমান থাকে। বিটিআরসির সহায়তায় এই কার্যক্রমগুলো হয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।