টেকসই উন্নয়নে কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৪.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বেরর ২৯টি দেশ থেকে কয়েক শতাধিক শিক্ষক-গবেষক অংশ নেন।
সম্মেলনের প্রথমদিন রাজধানীর ট্রাফিক দূরীকরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এআই-বেসড প্রজেক্টের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এলসেভিয়ার দ্বারা অর্থায়িত প্রজেক্টটি সম্মেলনে সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি অনুষ্ঠানের সহযোগী ইভেন্ট হিসেবে কাজ করছে।
এর বাইরেও সম্মেলনের অংশ হিসেবে ‘এডুকেশন ৪.০- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনীর সঙ্গে এগিয়ে যাওয়া’ শীর্ষক একটি টিউটোরিয়াল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স ফর টিচিং অ্যান্ড লার্নিয়ের উদ্যোগে ‘এডুনিয়াস ৪.০-ফাইন্ডিং দ্যা বেটার সল্যুশন ফর এডুকেশন শীর্ষক প্রতিযোগিতা স্থান পেয়েছে।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন পরিচলানা করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ কায়কোবাদ। এই অধিবেশনে দুইপি পেপার উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মাইক্রোগ্রিডের পর্যালোচনা করেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু এর আইট্রিপলই ফেলো ক্লদিও এ. ক্যানিজারেস। এছাড়াও মাল্টিএজেন্ট ডিপ রিফোর্সমেন্ট লার্নিং এর মাধ্যমে অনুদান-বিনামূল্যে একাধিক অ্যাক্সেসের জন্য অপটিমাইজেশন নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আইট্রিপল-ই ফোলো ভিনসেন্ট ওয়ং।
যন্ত্রের মাধ্যমে ল্যাঙ্গুয়েস্টিক ও প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউল হক এবং ড. মুহাম্মদ ইব্রাহিম। এর পরের সেশনে আলোচনা হয় কম্পিউটার ভিশন এবং প্যাটার্ন রিকগনিশনের ওপর।
স্মার্ট ডিভাইস এবং সেন্সর বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সামিয়া সাবরিনা এবং ড. মোচ্ছাব্বির উদ্দিন আহমেদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারনে শেষ পর্যন্ত তা পারেননি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সম্মেলনে মূলত তিনটি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পায়। এর মধ্যে রয়েছে- ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেমস; এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৯১টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে; যা থেকে ৯১টি প্রবন্ধ এবং ১২টি পোস্টার পেপার প্রেজেন্টশন উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত হয়।
সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে এবং বাছাইকৃত প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পায়।