আজকের পরে উদ্যোক্তা ও তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্সিং-এ আরো মনোযোগী হবে বলে প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাতে গণভবন থেকে ‘ভার্চুয়াল আইডি কার্ড’ পোর্টালের উদ্বোধন করে প্রণোচ্ছ্বল হাসি দিয়ে বলেছেন, ‘আমি আজ সত্যি খুশী। সবাইকে ধন্যবাদ। আন্তরিক ধন্যবাদ।’
বক্তব্যে তরুণরা ভাষা শেখার অ্যাপ থেকে বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান করে, নিজের বস হয়ে আত্ম মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে চলবে বলেও আশাবদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ফ্রিল্যান্সারদের কোনো স্বীকৃতি না থাকায় এতোদিন নানামুখী সমস্যায় পড়তে হতো বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সার এটাও একটা কাজ। এটাও এক ধরনের চাকরি। কিন্তু এটা হচ্ছে নিজেই নিজের বস এবং নিজে শুধু বস না আরও অন্যকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া, অন্যের বস হওয়া। অর্থাৎ অন্যকে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া। সেই সুযোগটাও হবে।
এই কাজে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয়কে শুরু থেকে বলেছি এটা করতে হবে। কিভাবে করতে হবে তুমি বল এবং সেভাবে পরামর্শ দাও। তার কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছি। বলতে গেলে আসলে আমি কম্পিউটার শিখেছি সজিব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক পরিচিতির পাশাপাশি ব্যাংক লোন পেতে সহায়তা করবে এবং ক্ষমতায়নে সহযোগিতা করবে। চাকরি খোঁজার ঝামেলা আর করতে হবে না। নিজেরাই কিছু কাজ করার সাহস পাবে। এমনকি ঘরে বসে গিন্নিরাও কিছু কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। লেখাপড়া শিখে শুধু ঘরে বসে গিন্নিগিরি করা না, সেই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং করেও অনেকে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ পাবে। এতে ছেলে-মেয়েরা যেমন মাকে কাছে পাবে, আবার সাথে সাথে মা’ও অর্থ উপার্জন করতে পারবে, কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় দেশে পেপ্যালের সেবা চালু করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অপরদিকে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
অনুষ্ঠান স্থলে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন অধিদপ্তরের প্রধানরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিসিএস, বেসিস, আইএসপিএবি, বাক্বো ও ই-ক্যাবের প্রতিনিধিরা।