বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় চার্জিং স্টেশন বানাবে বিদ্যুৎ বিভাগ। অনলাইনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের যন্ত্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘এনার্জি সিকিউরিটি অব বাংলাদেশ: ইস্যুজ অ্যান্ড অপশনস্’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তবে ‘প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই’ মন্তব্য করে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নীতিগত সমর্থন প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন মন্ত্রী।
শুক্রবার রাতে যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই সেমিনারে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (অ্যাকাডেমিক ও আন্তর্জাতিক) ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, জিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুজ্জামান, আইইবির প্রেসিডেন্ট মো. নূরুল হুদা ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুস সবুর বক্তব্য রাখেন।
ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন যত পরিকল্পিতভাবে হবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ তত টেকসই হবে। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে খাতভিত্তিক মহাপরিকল্পনায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তেল চালিত যানবাহনের ইঞ্জিনের দক্ষতা ২০ শতাংশ আর বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের ইঞ্জিনের দক্ষতা ৮০ শতাংশ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিতরণ ও সঞ্চালন খাতে ধারাবাহিকভাবে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দিনের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে মানবসম্পদ উন্নয়নকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নেট মিটারিং সিস্টেম, মাইক্রো ও ম্যাক্রো লেভেলের তথ্য, অটোমেশন, বিনিয়োগ এবং করোনা মাহামারি পরবর্তী জ্বালানি চাহিদা নিয়ে আলোচনা করেন।