ইন্টারনেট দুনিয়ার অংশীজনের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হলো ৪র্থ বিডিসিগ। বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের আয়োজনে দুই দিন ধরে জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় এই ওয়েবিনার। চতুর্থ বাংলাদেশ স্কুল অফ ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিএসআইজি) শুরু হয় ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসানুল হক ইনু, এমপি, সভাপতি বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম। স্বাগত বক্তব্য ও সেশন পরিচালনা করেন বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনু।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনএনআরসি-র সিইও এএইচএম বজলুর রহমান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম, এনডিসি. আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম এবং বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তাফা কামাল।
প্রধান অতিথি বিআইজিএফ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ইন্টারনেট একটি মৌলিক মানবাধিকার এবং তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত, গ্রামীণ ও শহরের বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্থানীয়করণের উপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান বলেন, বিআইজিএফ এবং বিডিসিগ সরকার ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নীতি পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংলাপ ও আলোচনা সভা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করছে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, আমরা কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলা করছি। আমাদের তথ্য সাইবার হুমকির হাত থেকে সবকিছু রক্ষা করতে হবে। আমাদের কাজের সুরক্ষা সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকতে হবে। দুর্বার প্ল্যাটফর্ম গুজব ও ভুল তথ্য হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
আইএসপিবিএ-র সভাপতি আমিনুল হাকিম উল্লেখ করেন যে প্রযুক্তির এই যুগে উদ্যোগটি সময়োচিত এবং প্রশংসনীয়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে অভিযোজনের জন্য আমাদের দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সহায়তা প্রদান করার কথা উল্লেখ করেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল ইউনিয়নকে ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে, যাতে সমস্ত ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
প্রথম দিনে ইন্টারনেট গভর্নেন্স অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন আইকান ভারতের প্রধান সমিরন গুপ্ত। তথ্যপ্রযুক্তি স্থানীয়করণ অধিবেশনে আলোচনা করেন কম্পিউটার কাউন্সিলের পরামর্শক মোহাম্মাদ মামুন অর রশীদ এবং সাইবার নিরপত্তা অধিবেশনে আলোকপাত করেন বিজিডি সার্ট এর নীতি ও ঝুঁকি বিশ্লেষক সাব্বির হোসাইন।
এছাড়াও শেষ দিনে আইওটি, ব্লকচেইন, মহামারিতে ডিজিটাল প্লাটফর্মের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং ইন্টারনেট ফেলোশিপ ও অনুদান বিষয়ক আলোচনা করা হয়। আলোচক হিসেবে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক কাজী হাসান রবিন, দ্য কম্পিউটার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিক ই রাব্বানী, ডিজি জাদু ব্রডব্যান্ডের হেড অব সিস্টেম অ্যান্ড স্ট্রাটেজি সাইফ রহমান, অমৃতা চৌধুরী এবং শ্রীদ্বিপ রায়ামাঝি।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম (বিআইজিএফ) জাতিসংঘের ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সাথে একযোগে বিডিসিগ আয়োজন করে। বিডিসিগ এশিয়া প্যাসিফিক স্কুল অফ ইন্টারনেট গভর্নেন্স (এপিএসআইজি) এর একটি উদ্যোগ। বিডিসিগ ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইনড নাম ও নাম্বার (আইসিএনএএন), এশিয়া প্যাসিফিক অ্যালায়েন্স ফর স্কুল অ্যান্ড একাডেমি অফ ইন্টারনেট গভর্নেন্স (এপিএএসএ), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিডিসিগ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) এবং মাসিক কম্পিউটার জগত।