গত ১৪ বছরে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি। এখন ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে আমরা প্রতিটি ডাকঘরকে স্মার্ট ডাকঘর এবং বিটিসিএল ও টেলিটককে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। সেজন্য সরকারের সেবা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা হবে।
রবিবার কক্সবাজারে প্রধান ডাকঘর পরিদর্শন শেষে ডাকঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিটিসিএল ও টেলিটকের সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি বর্তমান সম্পদ এবং অবকাঠামোগুলোকে স্বল্প বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভজনক করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কক্সবাজার প্রধান ডাকঘরে পাইলট প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপনের মাধ্যমে আমরা কাজ শুরু করবো। সারা বাংলাদেশে ৫০০ ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে পরিণত করা হবে। বিটিসিএলের প্রতিটি এক্সচেঞ্জ এবং টেলিটকের কাস্টমার কেয়ারগুলোকে সেবা ও নাগরিকবান্ধব সহজ স্মার্ট সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হবে। এসবের মাধ্যমে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে পেপারলেস স্মার্ট গভর্নমেন্ট সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারবো। স্মার্ট পোস্টের মাধ্যমে আমাদের উদ্যোক্তারা তাদের ই-কমার্স পণ্য সহজেই বিদেশে পাঠাতে পারবে। আমার বিশ্বাস এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট করার প্রক্রিয়া খুব অল্প সময়েই শুরু করতে পারবো।
এছাড়াও টেলিটকের নেটওয়ার্ককে আরো বেশি সেবা দেওয়ার উপযোগী করার জন্য অ্যাক্টিভ ‘নেটওয়ার্ক শেয়ারিং’ এর মাধ্যমে অন্যান্য মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।