ভার্চুয়াল পাইপলাইনের নিরাপত্তার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। রোববার (২১ মে) রাতে ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি। ভোলাস্থ গ্যাস কম্প্রেসডপূর্বক পরিবহন করে তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি কোং লি. এর আওতাধীন গ্যাস ঘাটতিকৃত এলাকায় সরবরাহ করার নিমিত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোং লি. এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এর মধ্যে এই চুক্তিটি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা বলেছেন, গ্যাস সিএনজি আকারে পরিবহন করে যে ভার্চুয়াল পাইপলাইন সৃষ্টি হলো তার মাধ্যমে দেশের সংকটপূর্ণ এলাকায় দ্রুত গ্যাস পৌঁছে দেওয়া যাবে। ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্নতা বজায় থাকবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, সমকালীন সমস্যা উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে সমাধান করতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ আলী ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ভোলাতে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন সম্ভব। কিন্তু সঞ্চালন লাইন না থাকায় তা জাতীয় গ্যাস গ্রীডে আনা যাচ্ছে না। তাই প্রাধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রমের পরামর্শে বিকল্প উপায়ে গ্যাস শিল্পে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে সহজেই পরিবহন করে স্বল্প চাপে ভোগা শিল্পে দেওয়া সম্ভব।
গ্যাস পরিবহনকালে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ভোলা-বরিশাল-খুলনা রুটে গ্যাস নেটওয়ার্ক তৈরি নিয়েও সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
চুক্তিতে সুন্দরবন গ্যাস কোং লিঃ -এর পক্ষে কোম্পানি সচিব শাহ আলম মোল্লা এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ আলী স্বাক্ষর করেছেন।