প্রায় ২ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে আগামী ২ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’। বিশ্বখ্যাত ম্যাসাচুসেট ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজি ( এমআইটি) এর এমআইটি সলভ নামের প্রতিযোগিতার আদলে এমআইটির সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজক টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন। দেশের কল্যাণে অবদান রাখবে এমন টেকসই ও উদ্ভাবনী ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতেই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।
এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আজ (১৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, টাইগার আইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, টাইগার আইটি বাংলাদেশের লক্ষ্য কোটি তরুণের অনুপ্রেরণার নাম। টাইগার আইটি বাংলাদেশের ডিজিটাল ন্যাশনাল আইডি বায়োমেট্রিক সলিউশন এর কাজ করছে। যার ফলে দেশের বাহিরের কাউকে দিয়ে এই কাজ করাতে হয়নি। নিজেদের দেশেই এই অর্থ রয়ে গেছে। এখানে হাজার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েেছ। দেশে ৪ টি হাই-টেক পার্ক অলরেডি তৈরি হয়েছে। আরো ২৮ টির কাজ চলছে। এই সকল হাই-টেক পার্কে দেশের অনেক তরুণের কাজের সুযোগ হবে।
ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, ‘ আমাদের বড় সম্পদ মানবসম্পদ। এই মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের তরুণরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। তাদের সুস্থ প্রতিযোগিতায় ছেড়ে দিতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে তাদের হাত ধরে।
জিয়াউর রহমান বলেন, ‘ এই চ্যালেঞ্জের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উদ্ভাবনীগুলোকে বাহিরের দেশে পরিচিত করা। নতুন উদ্ভাবনের ফলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই ‘টাইগার চ্যালেঞ্জ’প্রতিযোগিতা হবে দুইটি পর্বে। বাংলাদেশ পর্বে ফাইনালি একটি উদ্যোগকে সেরা ঘোষণা করা হয়। এমআইটির বিচারকরা যাচাই করে মোট ১০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করবেন। অক্টােবর মাসে ফাইনালিষ্টরা তাদের উদ্যোগ তুলে ধরেন এবং নির্বাচিত হবেন।
এখানে একটি বৈশ্বিক পর্ব থাকবে। চূড়ান্ত বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১.৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ। শর্ত থাকবে এই বিনিয়োগের অর্ধেক খরচ করতে হবে বাংলাদেশের জন্য।