দেশের শিক্ষার্থী উদ্যোক্তারা ৪০ হাজার ডলারের জন্য লড়বে। সে লক্ষ্য উদ্যোক্তাদের সংগঠন ইও-বাংলাদেশ আয়োজিত করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ছাত্র-উদ্যোক্তা পুরস্কার (জিএসইএ)- ২০২০। সারা দেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। বাংলাদেশ থেকে যে শিক্ষার্থী প্রথম হবে সে অংশগ্রহণ করবে সাউথ আফ্রিকার ফাইনালে। ফাইনালে প্রথম হলেই ৪০ হাজার ডালার পুরষ্কার। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যেকোন উদ্যোক্তা ছাত্র-ছাত্রী ১ জানুয়ারী এর মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইও-বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও আমান স্পিনিং মিল লিমিটেড এর ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান ও কাজী আইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইক কাজী।
তাহসিন আমান বলেন, জিএসইএ পুরষ্কার ২০২০ এর জন্য সেমিফাইনাল আগামী ৭ ও ৮ জানুয়ারি। এবং বাংলাদেশের গ্রান্ডৃ ফাইনাল ১১ জানুয়ারি। এর মধ্যে থেকে একজন সাউথ আফ্রিকায় নেয়া হবে। চূড়ান্ত বিজয়ী পাবেন ৪০,০০০ মার্কিন ডলারের পুরস্কার।
মাইক কাজী জানান, বাংলাদেশ থেকে যে প্রথম হবে তাকে পুরো সহযোগিতা করা হবে। দেশে উদ্যোক্তা পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। উদ্যোক্তা তৈরি হলেই দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনার অ্যাওয়ার্ড (জিএসইএ)” বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশের ১৭,০০০ স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী-উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা। শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনার পাশাপাশি নানা ধরণের উদ্যোগে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করতে উদ্বুদ্ধ করে।
সেইন্ট লুইস ইউনিভার্সিটির জন কুক স্কুল অব বিজনেস-এ ১৯৯৮ সাল থেকে প্রবর্তিত জিএসইএ নিয়মিত শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি নিজের ব্যবসা পরিচালনা করছেন এমন উদ্যোক্তা শিক্ষার্থীদেরকে সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কৃত করে আসছে। ২০০৬ সালে উদ্যোক্তা সংগঠন (এন্টারপ্রেনারস অর্গানাইজেশন) জিএসইএ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের জন্য নির্দেশনা, যোগাযোগ ও সমূদয় সহযোগিতা প্রদান ও বিশ্বের প্রভাবশালী উদ্যোক্তা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করে।