ইলন মাস্কের নিউরালিংকের ব্রেন চিপ স্থাপন করা রোগী অনলাইনে দাবা খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনা ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করা হয়। ২৯ বছর বয়সী নোল্যান্ড অরবাঘ নামের ওই রোগী গাড়ি দুর্ঘটনার পর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কাঁধের নিচের অংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ায় হাতের ব্যবহার তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু নিউরালিংকের চিপের সহায়তায় তিনি ল্যাপটপে অনলাইন দাবা খেলেছেন। খবর এনডিটিভি।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে স্ট্রিম করা ভিডিওতে অরবাঘ বলেন, ‘চিপ স্থাপনের অস্ত্রোপচারটি অত্যন্ত সহজ ছিল। একদিন পরই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। আমার কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা নেই।’
খবরে বলা হয়, ইলন মাস্ক ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন নিউরালিংক চিপ প্রথমবারের মতো একজন মানুষের মস্তিষ্কে স্থাপন করা হয়েছে। মস্তিষ্কে চিপটি স্থাপন করার পর তিনি আশানুরূপভাবেই সেরে উঠছেন। মানব মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে ভালোভাবেই কাজ করছে নিউরোলিংকের চিপ। এরপর এ বছরের জানুয়ারিতে মাস্ক জানান, নিউরালিংকের চিপের সাহায্যে মানুষ নিজের চিন্তাভাবনা ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার মাউস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
নিউরালিংক চিপ হলো এক ধরনের ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস, যা মস্তিষ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করে এবং ডিকোড করতে পারে। এই চিপটি মস্তিষ্কের সঙ্গে তারযুক্ত ইলেকট্রোড ব্যবহার করে। ইলেকট্রোডগুলো মস্তিষ্কের কোষ থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং সেগুলোকে ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি ডিভাইসে পাঠায়।
ইলন মাস্কের মতে, একটি সফটওয়্যার চিপ বসানো ব্যক্তির মস্তিষ্কের নিউরন হতে যে সিগন্যাল পাওয়া যাবে সেগুলো ভাষান্তর করবে। এই ভাষান্তরিত হওয়া সিগন্যালগুলো লেখা হবে বা কাজ করবে। চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে কম্পিউটারকে অবশ্যই অতি-বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন হতে হবে।
নিউরালিংক চিপটি একটি রোবটিক সার্জারির মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্টেক্সে স্থাপন করা হয়। প্রথমে ওই চিপটি মস্তিষ্কের কোষ থেকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল সংগ্রহ করে। এরপর সংগৃহীত ডেটা ব্লুটুথের মাধ্যমে একটি বাহ্যিক ডিভাইসে পাঠানো হয়। ডিভাইস ডেটা ডিকোড করে কাজে রূপান্তর করে।
ডিবিটেক/বিএমটি