তাইওয়ানের ফক্সকন সোমবার জানিয়ে দিয়েছে তারা ভারতের বেদান্ত সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যতে আগ্রহী নয়। ফক্সকন বেদান্তের সঙ্গে সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে যৌথ অংশীদারিত্বে কোন কাজ করবে না।
তাইওয়ানের সংস্থার এই সিদ্ধান্তেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিপমেকিং পরিকল্পনা রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। কারণ ফক্সকনের এই প্রকল্পে ১৯.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ছিলো। শুধু ভারত নয়, ফক্সকনের এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী তৈরির বাজারেও বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
তাইওয়ানের ফক্সকন বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা সংস্থা। বেদান্তের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে গুজরাটে সেমিকন্ডাক্টর ও ডিসপ্লে তৈরির প্ল্যান তৈরির করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘ফক্সকন মনে করছে যে এটি বেদান্তের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এগিয়ে যেতে পারবে না। ‘ পাশাপাশি ফক্সকন জানিয়েছে, সংস্থা তাদের নাম যৌথ উদ্যোগ থেকে তুলে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এখন এই প্রজেক্ট পুরোপুরি বেদান্তর বলেও পরিচিত হবে। তবে কী কারণে চুক্তি করেও পিছিয়ে এল এই সংস্থা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ছোট্ট এই বিবৃতি ছাড়া আর কিছুই বলেনি সংস্থা।
দুই পক্ষের চুক্তির পরে বেদান্তের চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল জানিয়েছেন, এই প্ল্যান্ট সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে নতুন দিশা আনবে। সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যাবে সামগ্রী। একই সঙ্গে দেশের তরুণ-তরুণীদের কাছে তাঁর আবেদন ছিল চিপ টেকার্স না হয়ে চিপ মেকার্স হয়ে উঠার। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই বড় ধাক্কা খেতে হল বেদান্তকে। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন দুটি সংস্থা একত্রে ১০ বছর কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভারত সিলিকন ভ্যালির দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এটাই তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও দাবি করেছিলেন।
এই দুই সংস্থা একত্রিত হয়ে কাজ করা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আচমকাই তাওয়ানের সংস্থার চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসায় ভারতের সিলিকন ভ্যালি প্রকল্পও ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডিবিটেক/বিএমটি