এলজিইডি প্রিমিয়ার লিগ-২০২৪-তে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর রাইডার্স। টসে জিতেও ক্রিজে থাকা ম্যাচ সেরা রাজীবে বধ হতে হয়েছে মাইটি স্ট্রাইকার্স। ৪ ইউকেট হাতে রেখেই বেধে দেয়া ১৫০ রান তাড়া করতে গিয়ে উড়িয়ে ছক্কা হাকিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছে রংপুর রাইডার্স।
কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে অনুষ্ঠিত শনিবার রাতের এই ফাইনাল ম্যাচ গড়িয়েছে রবিবারের প্রথম প্রহরে। ফলে রাত পৌনে একটার দিকে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আলী আক্তার হোসেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আলী আক্তার হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি সফিউল আরেফিন টুটুল, এলজিইডি প্রিমিয়ার লিগের সমন্বয়ক প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম রানাসহ এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, পেশাদারিত্ব অনুশীলন ও সুদক্ষতার প্রমানের জন্য এই ধরনের আয়োজন সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতাপূর্ণ কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধময় এই আয়োজন ভবিষ্যতে ও অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নির্মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এলজিইডি প্রকৌশলীরা শুধু যে পেশায় সফল তা নয়, সৃজনশীল কাজেও দক্ষ। এই খেলার সুচারু আয়োজনই তা প্রকাশ পাচ্ছে৷ এককথায় বলতেই হয়, এলজিইডি প্রকৌশলীরা সবকিছুইতেই দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রমান রাখে।
– প্রকৌশলী আলী আক্তার হোসেন
এর আগে বৃহস্পতিবার মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্ট। এতে অংশ নেয় ১২টি দল। ফাইনালে টসে জিতে মাঠে নেমে দ্বিতীয় বল মোকাবেলা করতে গিয়ে মাইটি স্টাইকার্স এর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রাজু তালুবন্দি হন রংপুর রাইডার্স দলনেতা নাসিফ-এর। এরপর লাবিব-শরীফ জুটি দলকে ভালোই টেনে নিচ্ছিলেন। তারা দুজনে মিলে দলের পক্ষে সংগ্রহ করেন ৬৩ রান। কিন্তু বোলার ওয়াসিম ও সৈকত তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন। হার না মানা ইকবাল ২৭ বলে ২৯ রান করলেও তার পরের ব্যাটসম্যানরা মোটেই সুবিধা করতে পারেননি। তবে টেইলএন্ডার ব্যাটসম্যান রাসেল ৮ বল খেলে ২টি করে বাউন্ডার ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে ক্রিজে থাকলেও ২০ ওভার খেলে ১৫১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়।
প্রতিপক্ষের মতোই মাইটি স্ট্রাইকার্স দলনেতা ইমরানের তালুবন্দি হন রংপুর টাইগার্সের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রনি সুমন ও মহিদুল দলের পক্ষে ৩৪ রান করে আউট হলেও হার না মান রাজিব দেখিয়েছেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। ৩৩ বল খেলে ৭টি ছক্কা ও ৩ বার বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে একাই ৬৬ রান করেছেন তিনি। আরমানের সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৯ ওভার ১ বলে দয়কে বিজয় উপহার দেন রাজিব। এই নৈপুণ্যে হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।