ফেসবুকের অনলাইন উদ্যোক্তাদের নিজেদের তৈরি পণ্য নিয়ে ১০৭টি স্টলে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে চলছে উই কালারফুল ফেস্ট ২০২৩। দুই দিনের উৎসবের প্রথম দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ফেস্ট থেকে প্রথমবারে দেয়া হলো হাজী সাহাব উদ্দীন শিশু শিক্ষা বৃত্তি।
শিশুদের হাতে বৃত্তির সনদ তুলে দেন দৈনিক যুগান্তর প্রকাশক ও সংসদ সদস্য অ্যডভোকেট সালমা ইসলাম। এ সময় তিনি শিশুদের উদ্দশ্যে বলেন, এখন কম্পিউটারেে যুগ, তোমরা এখন নিজেরাই বুঝ কোনটা পড়া উচিত। কোন বিষয়ে পড়ালেখা করা ভালো; সেই সিদ্ধান্ত এখন তোমরাই নিতে পারে। তবে সবসময় বাবা-মায়ের কথা শুনবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাবা-মায়েদের সন্তানকে বেশি সময় দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকই সব নয়; সুসন্তানের জন্য মায়েদের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে জাতীয় পার্টির এই সাংসদআরো বলেন, নারীরা কোথাও পিছিয়ে নেই। কিন্তু দুঃখ, তারা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বঞ্চিত। তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই অভাটা পূরণ করছেন।
অনুষ্ঠানে হাজী শাহাবুদ্দীনের মেয়ে এবং উই প্রতিষ্ঠাতা নাছিমা আক্তার নিশা ১৭ বছর ধরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। শিশুদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়াটাই তোমাদের জন্য বড়; বৃত্তি পাওয়াটা নয়। এসময় তিনি তার পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তিপরীক্ষার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
নিশা বলেন. গত ১৪ বছর মূলত এই বৃত্তি ছিলো ঢাকা কেন্দ্রীক। পরীক্ষা হতো স্কুলে। তবে করোনার সময় আমরা এটা অনলাইনে নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে উই উপদেষ্টা জাহানুর কবির সাকিব বলেন, সুসন্তান থাকলে মৃত্যুর ১৭ বছর পরেও কীভাবে একজন বেঁচে থাকতে পারেন এই আয়োজন তা-ই প্রমাণ করে বলে মত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবার হাজী শাহাবুদ্দীন স্মৃতি স্কলারশীপ পেয়েছেন ১৪২ জন। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন ১৪ জন। এবার ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্তদের ১৩ জনই মেয়ে শিশু। এদের মধ্যে ৭০ শতাংশই ঢাকার বাইরের।
স্বাগত বক্তব্যে আয়োজনের অন্যতম আহ্বায়ক ওমর ফারুক জানান, ২০১৬ সাল থেকে ১৪ দফায় ১৫০৫ জনকে বৃত্তি দেয়া হয়েছে।
মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সবেক এডিশনাল আইজিপি মো: আব্দুর রহিম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজির (বিডব্লিউআইটি) সভাপতি রেজওয়ানা খান। তিনি শিশুদের প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে এই বৃত্তিতে মেয়েদের এগিয়ে রাখায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
শনিবার এন্টপ্রেনিওরশিপ মাস্টারক্লাসের মাধ্যমে শেষ হবে এই উৎসব। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।