২০১৫ সালে নারী উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয় ই-ক্যাব। গড়ে তোলে ওমেন ই-কমার্স ফোরাম। এক বছর কার্যক্রম পরিচালনার পর বাঁক বদল ঘটে। ছয় বছর পর ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ই-ক্যাবের ওই নারী উদ্যোক্তা ফোরামটি। এবার ফোরামের হাল ধরেছেন খোদ ই-ক্যাব প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। এরপরই নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো মিট অ্যান্ড গ্রিট। রাজধানীর একটি রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত এই সম্মিলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নারী উদ্যোক্তা সংগঠনের সভাপতি ও সাবেক সচিব হোসনে আরা বেগম।
বিআইজেএফ এবং ইক্যাব ওমেন ফোরাম সভাপতি নাজনীন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। বক্তব্যে তিনি নারীদের ডিজিটাল, ফিনটেক ও সাইবার জগতের সাক্ষরতায় সক্ষমতা অর্জনে ওমেন ফোরাম কাজ করবে বলে ঘোষণা দেন। এছাড়াও ফোরমটি উদ্যোক্তাদের ব্যাবসার দক্ষতা এবং কার্যক্রম উপর ভিত্তি কারে উদ্যোক্তা ম্যাপিং করবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, ব্যাংক এশিয়া‘র নারী উদ্যোক্তা বিভাগের প্রধান রিফাত আনজুম, বিক্রয় ডটকম সিইও ঈশিতা শারমিন, ইউএনডিপি’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাজিতা হক, বিডব্লিউআইটি সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলা এবং বিআইজিএফ কনভেনার ফারহা মাহমুদ তৃণা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও ই-ক্যাব কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি সাহাবউদ্দিন শিপন, পরিচালক সাইদুর রহমান, খন্দকার তাসফিন আলম ও অর্নব মুস্তাফা এবং ডিজিটাল ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুজ্জামান সাঈদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ডিজিাটাল বাংলাদেশ সম্মাননা প্রাপ্ত ডিজিটাল ভিলেজ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের অভিনন্দন জানানো হয়। এসময় ৬৪টি জেলাতেই একটি করে ডিজিটাল পল্লী গড়ে তোলার ঘোষণা দেয়া হয়। সম্মেলনের শুরু থেকেই অনুষ্ঠান স্থলে আলোচনার পাশাপাশি চলে নারী উদ্যোগের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী।