আগামী দুই বছর ই-ক্যাবের নেতৃত্বে অগ্রগামী-কে দেখতে চেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বুধবার (৮ জুন ২০২২) এই প্যানেলের প্রার্থীদের জন্য শুভ কামানা করে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই এই প্রত্যাশার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সৌজন্য সাক্ষাতে ই-কমার্স সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালকে ইয়াং ও এনার্জেটিক একটি প্যানেল গঠনে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, করোনার সময়ে আপনারা সরকারের পাশে থেকে যেভাবে বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবেলায় ভূমিকা পালন করেছেন সেই ধারাবাহিতা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে আপনাদের নেতৃত্বে ই-ক্যাব এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
এসময় প্যানেল সদস্যদের কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আশাকরি আপনারা আবার নির্বাচিত হয়ে সদস্যদের কষ্ট লাঘোব করার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা বাড়ানো এবং সেক্রেটারিয়েটকে আরো শক্তিশালী করবেন। আমি অগ্রগামী প্যানেলের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গেই আছি।
বৈঠকে উপস্থাপিত অগ্রগামী প্যানেলের পরিচিতি ও ইশতেহারকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বাজার ও কর্মসংস্থান বাড়ানো পরিকল্পনা বাস্তবয়য়েন অগ্রগামীকে আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ই-ক্যাব সদস্যদের জন্য হাইটেক পার্কগুলোতে বিশেষ সুবিধা দেয়া এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রকল্প থেকে নতুন উদ্যোক্তাদের পেছেনে বিনিয়োগ এবং প্রথম ছয় মাস হাইটেক পার্কগুলোতে তাদের বিনা ভাড়ায় অফিস করার সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে দ্রুত ক্রসবর্ডার নীতিমালার এসওপি প্রকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে ই-ক্যাবের ই-জিনিয়াস এর কার্যক্রম আবার শুরু করার তাগিদ দিয়েছেন মন্ত্রী।
বৈঠকে অগ্রগামী প্যানেলে ৯ প্রার্থীর সঙ্গেই আলাদা আলাদা কথা বলেন জুনাইদ আহমেদ পলক। বৈঠক শেষে সবার সঙ্গে ছবিও তুলেন। প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসু এই সৌজন্য সাক্ষাতে অগ্রগামী প্যানেল সদস্য সাহাব উদ্দিন শিপন, আম্বারীন রেজা, আসিফ আহনাফ, নাসিমা আক্তার নিশা, মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, শাহরিয়ার হাসান এবং মোঃ রুহুল কুদ্দুস ছোটন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক বিষয়ে ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, মহাব্যস্ততার মধ্যেও পুরোটা সময় জুড়ে অগ্রগামী প্যানেলের প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে তিনি কথা বললেন হাসি মুখে। তার স্বভাবসুলভ প্রাণোচ্ছলতা আমাদের মনোবলকে করলো আরো দৃঢ়। বৈঠকে আমাদের ইশতেহার দেখে, স্মার্ট বাংলাদেশ আর স্মার্ট ই-ক্যাব যে অবিচ্ছেদ্য তা উল্লেখ করে আহ্বান জানালেন, এগিয়ে যেতে, বুক চেতিয়ে। বললেন, যারা কাজ করে তাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না।