আসন্ন বাজেটে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বৃদ্ধি করতে পারে সরকার। এর ফলে বেড়ে যেতে পারে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, র্তমানে খুচরা পর্যায়ে মোবাইল ফোন বিক্রির ওপর কোনো ভ্যাট না থাকলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মোট ১০ শতাংশ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এই সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে দেশের ১ কোটি ১০ লাখ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর। সেই সঙ্গে নতুন হ্যান্ডসেট কেনার খরচও বেড়ে যাবে।
সাবমেরিন কেবল কোম্পানি ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পরিষেবা প্রদানকারীদের কাছে। এরপর তা ইন্টারনেট সেবা দাতাদের (আইএসপি) হাত ঘুরে গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়।
এ বিষয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক জানান, মহামারিতে গ্রাহক বাড়লেও দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করেন, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট বাড়লে আইএসপিদের পক্ষে সারা দেশে একই দামে ইন্টারনেট বিক্রি করা সম্ভব হবে না সরকার যদি খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট বৃদ্ধি করে, তাহলে এই শিল্প থেকে মোট ভ্যাট ২০ শতাংশেরও বেশি হবেযদি অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানো হয় তাহলে ব্রডব্যান্ড গ্রাহক সংখ্যা বাড়ার হার কমে যাবে এবং অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কেননা, জিডিপিতে এই খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী যখন আইএসপি সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভূক্ত করেছেন তখন এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারর নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের এই নেতা।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বছরের জুনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শুল্ক নির্ধারণ করে। একজন গ্রাহকের এখন সর্বনিম্ন ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট গতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহার করার জন্য মাসে অন্তত ৫০০ টাকা দিতে হয়।
তিনি বলেন, ‘গত ২ বছরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে এবং এর ফলে সরকারের ভ্যাট আদায় বেড়েছে। সরকার যদি নতুন করে ভ্যাট না বাড়ায়, তাহলে গ্রাহক বাড়বে। এতে করে শেষ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে বেশি পরিমাণ টাকা যাবে।’