আমাদের পণ্য। এরপর মেড ইন বাংলাদেশ। এই দুই ধাপে বাংলাদেশের গৌরব এনে এবার পারিবারিক বিশ্বাস ও অটটু বন্ধনে ই-কমার্স সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলো ওয়ালটন। প্রায় একই রকমের লোগো-তে ‘কার্ট’ সংযুক্তির মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে আস্থা স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসা এই ই-কমার্স মার্কেটপ্লেসটি বিশ্বজয় করবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টেদের।
এক বছর পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর রবিবার ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘ওয়ালকার্ট’। সহজে, সবখানে নিরাপদে স্লোগানের এই ই-কমার্স প্লাটফর্মের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনির ও বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ ছাড়াও ওয়ালটন পরিবারের শীর্ষ কর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ালট মার্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাবিহা জারিন অরনা। করপোরেট অফিসে হলেও দেশীয় সাংস্কৃতিক আবহে পুরো অনুষ্ঠানটিই পরিণত হয় বৈঠকখানার আড্ডায়। ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি’র উপস্থপনায় পারিবারিক আভিজাত্য আর আস্থার বুনটের শক্তিকে প্রকাশ করেছে এই অ্যাপার্টপেন্ট যুগেও। আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুরুতেই তিনি একে একে মঞ্চে ডেকে নেন মা-চাচি, ফুফু এবং বোনদের।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে পারিবারিক আবহে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শুভকামনা জানিয়ে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, ওয়ালটন চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রিজভি, এস. এম. আশরাফুল আলম ও ওয়লটনের পারিবারিক ব্যবসায় ঐতিহ্য তৃতীয় প্রজন্মের কাছে পরবর্তী আস্থার পতাকা বহনের দায়িত্ব অর্পন করেন।
অনষ্ঠানের শেষ ভাগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নিজেদের উদ্ভাবনী দলের মাধ্যমে তৈরিক ওয়ালটন প্রিমিও এস-৮ মোবাইল ফোনের ওপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন ওয়ালটন সিইও গোলাম মুর্শেদ। তার উপস্থাপনায় মাত্র ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় ফোনটির স্পেসিফিকেশন দেখে মুগ্ধ হয়ে অনুষ্ঠান থেকে ওয়ালকার্টে দুইটি ফোন বায়না দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠান স্থলেই পণ্যটি বুঝিয়ে দেন ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।