চলতি অর্থবছরের গত আট মাসে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ৪ হাজার ৯১টি অভিযোগ জমা পড়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে (ডিএনসিআরপি)। অপরদিকে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত অভিযোগ অভিযোগ জমা পড়েছে ৮ হাজার ৪১৬টি। এর মধ্যে ই-ভ্যালির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অভিযোগ জমা পড়েছে ২ হাজার ৪৮০।
এছাড়াও দারাজের বিরুদ্ধে ৯১৬টি, ফালগুনিডটকমের বিরুদ্ধে ৩১৫টি, প্রিয়শপের বিরুদ্ধে ২৯৭টি এবং পাঠাও ডটকমের বিরুদ্ধে ২৬২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। বাকি অভিযোগগুলো ছিলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেজ খুলে ব্যবসা করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং আরও কিছু অনলাইনের বিরুদ্ধে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ই-কমার্সের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশির ভাগ অভিযোগ হয়েছে সময়মতো পণ্য না দেওয়ার বিষয়ে। এছাড়াও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ওয়েবসাইটে ইংরেজি ভাষায় পণ্য দেরিতে দেওয়া, যেকোনো সময়ে অর্ডার বাতিলসহ নানা সুযোগ রাখা এবং এসব শর্ত গ্রাহকের ঠিক মতো না পড়ার কারণেও অনেকের ভোগান্তি অভিযোগ হিসেবে আমলে নেয়া সম্ভব হয় না বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
একারণেই ভুক্তভোগীদের খুব কমসংখ্যকই অভিযোগ নিয়ে অধিদপ্তর পর্যন্ত পৌঁছান এবং বাকিরা শুধু সয়ে যান বলে মনে করে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের অভিযোগগুলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কড়া নজরদারি প্রত্যাশা করছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তবে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা’প্রকাশ করতে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খসড়া ওই নির্দেশিকায় ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন।