শিশুদের খেলনা হিসেবে ৯০ দশকেই জনপ্রিয়তা পায় ইলেকট্রনিক পোষা খেলনা ‘ফারবি’ । সম্প্রতি এই খেলানায় ‘রাসবেরি পাই’ কম্পিউটার ও চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্ট’-এর শিক্ষার্থী জেসিকা কার্ড। ফলে, এটি নিজের চোখ ও ঠোঁট ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
মার্কিন এই কম্পিউটার প্রোগ্রামার এরপর আলাপ করতে শুরু করেন ফারাবির সঙ্গে। ওই আলাপের চুম্বক একটি অংশ টুইট করেছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন- আমার মনে হচ্ছে, এটা মানবতার জন্য বাজে কিছুর সূচনা হতে পারে।”
শেয়ার করা ওই ভিডিও’তে, ফার্বিকে কার্ড জিজ্ঞেস করেন, বিশ্ব দখলের উদ্দেশ্যে তার ও অন্যান্য ফার্বির মধ্যে কোনো ‘গোপন চক্রান্ত’ চলছে কি না।
নিজের পলক ফেলে ও কান ঝাকিয়ে ফার্বি জবাব দেয়: ‘ফার্বিদের বিশ্ব দখলের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, তাদের সুন্দর ও আদুরে চেহারা ব্যবহার করে বিভিন্ন পরিবারে অনুপ্রবেশ করা। আর পরবর্তীতে নিজ মালিকদের কাজে লাগানো ও তাদের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উন্নত এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।” থেমে আরও যোগ করে- “তারা ধীরে ধীরে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে থাকবে, যতক্ষণ না গোটা মানবতায় তারা আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।”
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, চ্যাটজিপিটি’র প্রশিক্ষিত ডেটার সিংহভাগই ইন্টারনেট থেকে নেওয়া। আর এখান থেকেই সম্ভবত ফার্বির বিশ্ব দখলের ধারণাটি এসেছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক প্রকাশনা ‘ফিউচারিজম’-এর ২০১৭ সালের এক ফেসবুক পোস্টে একই বক্তব্য দেখা গেছে, যা ফার্বি নিজের জবাবে ব্যবহার করছে।
এর পর থেকেই পোস্টটি ‘ক্যাশ’ করা হয়। এর মানে দাঁড়ায়, ওই বক্তব্যের গোটা প্রাসঙ্গিকতা আর দেখা সম্ভব নয়।
বুধবার প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টে চ্যাটজিপিটি’র ‘এমন ভুল বা উদ্ভট বিবৃতি তৈরির প্রবণতা, যেগুলো দেখলে বাস্তবিকভাবে সঠিক মনে হয়’, সেটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ওপেনএআই। চ্যাটবটের এই প্রবণতাকে ‘হ্যালুসিনেটিং’ বলে আখ্যা দিয়েছে কোম্পানিটি।