আইকান দক্ষিণ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক নিতিন ওয়ালি। সম্প্রতি তিন দিনের ইয়্যুথ আইজিএফ-এ যোগ দিতে ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের হরিয়ানার বেড়ে ওঠা এই ইন্টারনেট যোদ্ধা। ঢাকায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রযুক্তিপ্রাণ তরুণদের প্রশংসা করলেন অনেকটাই গর্বের সঙ্গে। বললেন, তারুণ্যের শক্তিকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডকে পূর্ণতা দিতে হবে।
ডিজিবাংলা নির্বাহী সম্পাদক ইমদাদুল হক এর সঙ্গে আড্ডায় জানালেন বেশ কিছু নতুন তথ্য। আলাপাকালে যে বার্তা তিনি দিয়েছেন, তা সম্ভবানার, একইসঙ্গে আশাজাগানিয়াও বটে।
প্রথমেই তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিলো বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে। উত্তরে, নিতিন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন বাংলাদেশকে। বললেন, গত সাত বছরে ইন্টারনেট অবকাঠামো ও লজিস্টিক এগিয়েছে।
তারুণ্যের ক্যারিয়ারে ইন্টারনেট এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব বিষয়ে বলেছেন, প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে ইন্টারনেট। কেননা ইন্টারনেট ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণে ভূমিকা রাখে। তাই তরুণদের শেখাতে হবে ভবিষ্যমুখী প্রযুক্তি। এখন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর মতো নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র বাড়ছে। তাদের এসব ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে একসঙ্গে। সরকারি-বিসরকারি যৌথ অংশীদারিত্ব এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইন্টারনেট দুনিয়ায় ইংরেজি ভাষা রাজত্ব করলেও স্থানীয় ভাষায় কন্টেন্ট, বাংলা ই-মেইল নিয়েও কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নিতি ওয়ালি।
বললেন, ইন্টারনেট এমন একটি শক্তি যেখানে লিঙ্গ বৈষম্য, ধনী-গরিব বলে কিছু নেই। কথা বলেছেন, হোস্টিং-ডোমেইন নিয়েও। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহ নিয়েও ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন তিনি। ইনফ্লুয়েন্সার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইবার থ্রেড, স্ক্যাম এবং সাইবার হাইজিন নিয়েও কথা বলেছেন। তবে যতই প্রযুক্তি বা বট আসুক না কেন শেষ যাত্রায় সৃজনশীলতা নিজস্ব শক্তিতেই দৃঢ় অবস্থানে থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন ইকান দক্ষিণ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক ।