সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) জন্য জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও-এর দেখার হওয়ার এলাকায় অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ২০০ একর জমি। এরইমধ্যে অধিগ্রহণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে চায় বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, দেখার হাওরপাড়ে সুনামগঞ্জ ও শান্তিগঞ্জের সীমানায় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে, ভবিষ্যতে এর আশপাশে জমি পাওয়া কঠিন হবে, মূল্যও বেড়ে যাবে। এ কারণে এক সঙ্গেই বেশি জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০০ একর জমি অধিগ্রহণের। প্রস্তাবিত ২০০ একর জমির মধ্যে শান্তিগঞ্জ খাদ্য গোদাম এলাকা পড়ে যাচ্ছে। খাদ্য গোদাম এবং এলাকার একটি কবরস্তান সংরক্ষণ করেই জমি অধিগ্রহণের চিন্তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত জমিতে হাওরের গভীর অংশ রয়েছে। ওই অংশ থেকে মাটি তুলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রাকৃতিক জলাধার রাখা হবে। ক্যাম্পাসটিতে প্রাকৃতিকভাবেই দৃষ্টিনন্দন করার চিন্তা করা হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
সূত্রমতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিসি সম্মেলনে রাজধানীতে থাকা সুনামগঞ্জের বিদায়ী জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বর্তমান জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নির্ধারণের বিগত সময়ের কার্যক্রম বুঝিয়ে দেন।
এ নিয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিজন কুমার সিংহ গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে আমাদের চিঠি দিলেই দ্রুতই আমরা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেব। আমরা চিঠির অপেক্ষায় আছি। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থান নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবু নঈম শেখ আজ শনিবার বিকালে জানিয়েছেন, গেল তিন মাস ধরেই জমি অধিগ্রহণের জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই অর্থ বছরের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে চাই আমরা। জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলে একাডেমিক কাজ শুরু হবে।