অনলাইনেই সামার ২০২০ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিষেক অনুষ্ঠান করলো বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বিইউবিটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফৈয়াজ খানের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সাবেক উপাচার্য ও বিইউবিটি ট্রাস্টের অন্যতম সদস্য প্রফেসর মো. আবু সালেহ।
বক্তব্য রাখেন মানবিক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ারুল হক, আইন অনুষদের ডিন ড. সৈয়দ সরফরাজ হামিদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ মাসুদ হুসেন, রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ বি মো. বদরুদ্দোজা মিয়া এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আজমল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিইউবিটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টেক্সট টু স্পিচ ও স্পিচ টু টেক্সট এবং স্ক্রিন রিডার নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আইসিটি বিভাগে সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত উচ্চমানের মোবাইল অ্যাপস ও গেমিং অ্যাপস ল্যাবটি শিগগিরি উদ্বোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রতিযোগিতায় বিইউবিটি শিক্ষার্থীদের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বিইউবিটির শিক্ষার্থীরা হাই টেক পার্কের সুবিধা গ্রহণ করে উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তা হয়ে উঠুক এটা আমাদের প্রত্যাশা। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে শিক্ষাঙ্গন ও ইন্ডাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রীর আহ্বানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, বিইউবিটি’র মূল উদ্দেশ্য গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণার উপর গুরুত্ব দেওয়া না হলে উচ্চশিক্ষা ফলপ্রসূ হয় না। বিইউবিটি সে লক্ষ্যে রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে কোাভিড সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে চালিয়ে নিতে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ ও গতি বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিইউবিটি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফৈয়াজ খান।