পবিত্র ঈদ-উল-আযহা সাধারণের কাছে কোরবানির ঈদ নামেই বেশি পরিচিত। এই উৎসব ত্যাগ আর আত্মশুদ্ধির। তাই দিনটিতে মুসলমানরা তাদের সাধ্যমতো ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কোরবানি বা জবাই করে থাকেন। ঈদের নামাজের পরই আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদুল আজহা উদযাপন।
ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সকলের জীবন আনন্দে পরিপূর্ণ করে তুলতে প্রযুক্তিকেও ব্যবহার করা হয় এখন। অনলাইন হাট থেকে কোরবানির পশু কেনা ছাড়াও এখন অনলাইনে ভাগে কোরবানিও শুরু হয়েছে দেশে। বেঙ্গলমিট, বিক্রয় ডটকম, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ, প্রিয়শপডটকম, ডিজিটাল হাট, সাদিক এগ্রো, যোগান, প্রাণিসম্পদ সেবা, প্রোটিন মার্কেট, মাদল দিচ্ছে এমন সুবিধা। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে অনলাইন পশুর হাট ‘ডিজিটাল হাট’ও এবার কোরবানি পশুর ফুল প্রসেস সেবা দিচ্ছে।
“কুল ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।”
বলুন, ‘নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। (৬:১২)
ডিজিবাংলাটেক পরিবারের পক্ষ থেকে সকল পাঠক, দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ঈদের শুভেচ্ছা।
বেঙ্গল মিটের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান শেখ ইমরান আজিজ বলেন, গতবারের চেয়ে এবার শেয়ারে কোরবানির গরুর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের টার্গেটের ৩ ভাগের ২ ভাগ পূরণ হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে পশুর হাটও। তাই হাটের পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খামার থেকেই হাজারো পশু বিক্রি করছেন ব্যাপারীরা। ঘরে বসে পছন্দের পশু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। প্রতিটি উপজেলায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে ই-ক্যাব ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে। এসব হাট থেকে কেনা পশুর মূল্য পরিশোধে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ভেরিফাই করে একটি অনলাইন পেমেন্ট লিংক দেয়া হচ্ছে ক্রেতাকে। অনলাইনের পাশাপাশি স্মার্ট হাট থেকে পশু কিনে তার মূল্যও পরিশোধ করা হচ্ছে এবার পস মেশিন, বাংলাই কিউআর আর এমএফএস-এ। অধিকাংশ খামারী এক্ষেত্রে বেশি বেছে নিচ্ছেন বিকাশ, নগদ, উপায় ও এমক্যাশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় দুই শহরে চালু হয়েছে ১১টি স্মার্ট পশুর হাট।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন জানান, এবার অনলাইনে গরুর চেয়ে ছাগল বিক্রির সংখ্যা বেশি। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মানুষ কম খরচ করছেন।
এদিকে কোরবানির পশুর মাংস যাদের সাধ্য নেই তাদের মধ্যে বিলি করতে অনলাইন সেবা দিচ্ছে করছে মাস্তুল। এছাড়াও কোরবানির হক আদায়ে একই রকম কাজ করে যাচ্ছে ই-ক্যাব এর মানব সেবা। তবে এবার তারা কাজ করছে ব্লাডম্যানের সঙ্গে। একইভাবে অনলাইনে ডেলিভারে সেবাদাতারাও যুক্ত হয়েছে এই সেবায়।
তবে অনলাইন হোক আর অফলাইন ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়েই পালিত হোক ঈদ। ঈদ মোবারাক।