চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সোসাইটি ৫.০-তে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা উপাত্ত বা ডেটা খনিজ সম্পদের মতো। এগুলো আহরণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক সল্যুশন দিতে ডেটার প্রতিযোগিতা, প্রতিযোগীদের প্রণোদিত করতে সরকার-ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়াদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডাটাথনের দ্বিতীয় সংস্করণের সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘ডাটা সায়েন্স ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় এই পরামর্শ দেন বক্তারা।
ডেটা থেকে নলেজ আর্ন করতে বুদ্ধি করে রিসোর্স অ্যালোকেশন করতে হবে। এজন্য রবি-কে ডাটাথন নিয়মিত করণের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চেয়ার স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদ। তিনি বলেছেন, ডেটা মাইনিংয়ের মাধ্যমে পদ্মাসেতুর ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করা দরকার। তাহলে এই সেতু থেকে আমরা সর্বোচ্চ সুবিধা প্রাপ্তির পাশাপাশি নতুন সম্ভাবনা আবিস্কার করতে পারবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিস্টিংগুইশড বিভাগের এই অধ্যাপক আরো বলেন, প্রতিবেশীদেশ ভারতের দিকে দৃষ্টি দিলেই নিজেদের অবস্থান জানা যাবে। আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অলিম্পিয়াডে ওই দেশে গিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। এভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য বিদেশীদের মাপকাঠিতে নিজেদের মূল্যায়ন করে তাদেরকে প্রণোদিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ বলেন, ডেটার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে আমরা এখনো প্রস্তুত নই। ডেটা বিশ্লেষণে বিনিয়োগের বিষয়ে আমাদের স্ট্রাগল করতে হয়। অ্যাকাডেমি-ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশনের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ কাজে লাগাতে হবে। এই ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এআই সল্যুশন করা হলে তা অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে।
ডেটা বিশ্লেষণে প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, একজন বিকম পাশ গ্রাজ্যুয়েটকেও সফট স্কিলের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করতে পারি। আর আগামী ২০৩০ সালের পর আমরা হিউম্যান ডেভিডেন্ট পাবো না। তাই আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, আমাদের প্রচুর ডেটা আছে। এগুলোর শ্রেণী বিন্যাস করতে হবে। ওই ডেটা থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডেটার আউটপুটের চেয়ে এর আউটকাম বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
বৈঠকের শুরুতেই রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার রুহুল আমিন বলেন, সামনের ডেটা ভিত্তিক বিশ্লেষণে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে রবি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সঙ্গে কাজ করবে।
প্যানেল ডিসকাশনটি সঞ্চালনা করেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম।