মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির বিরুদ্ধে গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধানের টুইটার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে তিনি ঘৃণামূলক বার্তা ছড়ানোর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হয়।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির শীর্ষ জেনারেল মিন অং লাইংয়ের @sgminaunghlaing টুইটার অ্যাকাউন্টটি চলতি সপ্তাহে অফলাইনে নেয়া হয়। তার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে বিশিষ্ট রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী তুন কিন জাতিগত গ্রুপটির পক্ষে বড় বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
মিন অং লাইংয়ের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগও রয়েছে। ২০১৮ সালের আগস্টে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি মুছে দেয়া হয়। জাতিসংঘ গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বের বিচারের প্রসঙ্গ উত্থাপনের পর ফেসবুক তার অ্যাকাউন্টটি মুছে দেয়।
সোশাল মিডিয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে তিনি ‘বাঙ্গালি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর অর্থ হলো মিয়ানমারে তারা অভিবাসী, নাগরিক নয়। ফেসবুকে, তিনি সেনাবাহিনীর বর্বরতার অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন যে সেনাবাহিনী গণহত্যা করেনি, গেরিলাদের টার্গেট করেছে মাত্র।
বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশান ইউকে’র প্রেসিডেন্ট তুন খিন গত সপ্তাহে সিলিকন ভ্যালিতে টুইটারের নির্বাহীদের সাথে দেখা করে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন এখনও মিন অং লাইংয়ের অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় রয়েছে। এর পরপরই তার অ্যাকাউন্টটি স্থগিত করা হয়। জেনারেলের অ্যাকাউন্টটি এক বছরেরও বেশি সময় ব্যবহার করা হয়নি। তবু এটাকে বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।