দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিগগিরই দেশে ফাইভজি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।
১৭ মে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দেয়া এক বাণীতে এই সুখবর দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে। অচিরেই দেশে ফাইভজি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ এর সেবা ব্যবহার করতে শুরু করেছি।
এবারের প্রতিপাদ্য ‘ব্রিজিং দ্য স্টান্ডার্ডাইজেশন গ্যাপ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, গত দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ এ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ইন্টারনেট ডেনসিটি বৃদ্ধি, সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, নতুন সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ টেলিযোগাযোগ খাতের সকল সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ, প্রায় সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, সকল জেলায় তথ্য বাতায়ন এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, একটি বাস্তবতা।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭ মে ‘ওয়ার্ল্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’