ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই প্রতিদিনই পেতে পারেন নতুন গাড়ি। রয়েছে ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অসংখ্য পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও আছে লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
জানা গেছে, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সারা দেশে এই ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে। ক্যাম্পেইন ঘিরে সারা দেশেই বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। ব্যাপক ক্রেতাচাহিদার প্রেক্ষিতেই এবার ক্যাম্পেইনে নতুন গাড়ি পাওয়ার সুযোগ যোগ করলো ওয়ালটন।
‘এই ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি, পেতে পারেন প্রতিদিনই নতুন গাড়ি’ গত ৯ মে রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এই অফারের ঘোষণা দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, হুমায়ূন কবীর, মোহাম্মদ রায়হান, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, গোলাম মুর্শেদ, আরিফুল আম্বিয়া, আমিন খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কিনে মোবাইল নম্বর দিয়ে পণ্যটি রেজিস্ট্রেশন করবেন ক্রেতা। এরপর ফিরতি এসএমএস-এ ক্রেতাকে নতুন গাড়ি, ফ্রি পণ্য অথবা ক্যাশব্যাকের অংক জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আগের তিন সিজনে নতুন গাড়ি, আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমণের ফ্রি বিমান টিকিট ছাড়াও ক্রেতারা কোটি কোটি টাকার ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ওয়ালটন পণ্য পেয়েছেন।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুর্শেদ জানান, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা নিতে পারেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের সম্মানিত করতেই নতুন গাড়িসহ ফ্রি পণ্য ও নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, এ বছর দেশের বাজারে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটন। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘১৯ এ ২০’। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য এসেছে। এ বছর প্রথম ৪ মাসে গত বছরের চেয়ে ফ্রিজ বিক্রিতে ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় বাজারে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার ছেড়েছে ওয়ালটন। ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে রয়েছে চোখ ধাঁধানো আকর্ষণীয় ডিজাইনের গ্লাস ডোর এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত ফ্রিজ। এছাড়াও, ইনভার্টার ও গ্লাস ডোরের ৫৬৩ লিটারের সাইড বাই সাইড ডোরের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসব ফ্রিজ স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই নিশ্চিন্তে চালানো যাবে।