প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে পেরেছি, এর মূল কারণ হলো এর উপর থেকে শুল্ক শূন্য শতাংশ করে দিয়েছিলাম। যার জন্য এই আমরা পর্যায়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এমনকি যখন বলা হয়েছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, তখন অনেকে বলেছিলেন এটা সম্ভব না। আর এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ করা সম্ভব হচ্ছে, এটা হবে।
মঙ্গলবার ‘ইন্ড্রাস্টি লিডার সামিট’ শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যখন উন্নত দেশ হওয়ার কথা বলছি, তখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলাই হবে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা এখন বছরে বিলিয়ন ডলার নিয়ে আসছে দেশে, যার সঠিক পরিসংখ্যানও করতে পারিনি আমরা।
এখন বিডা ও আইসিটি বিভাগকে বলব, এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সেক্টর ধরে ধরে খুঁজে আনতে হবে। নতুন পুরনো সব উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি খাত থেকেও প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। এই আইসিটি খাতেই আমাদের ফোকাস করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ও রোবোটিকওস নিয়েও কথা বলেন তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতের এই শীর্ষ ব্যবসায়ী।
তিনি বলেন, আজকে গার্মেন্টসগুলো থেকে বলা হচ্ছে, রোবট এসে যাওয়ায় তাদের অনেককে ছাটাই করা হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। কিন্তু এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস ব্যবস্থাপনাতেই তো আমরা আরো অনেক লোক নিয়োগ দিতে পারি। আরও অনেক কর্মসংস্থানে সুযোগ করতে পারে রোবোটিকস। এটা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিডা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন তাদের প্রণোদনা দিতে আইসিটি পলিসি তৈরি করতে হবে।
পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এখন উদ্ভাবনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের পাশাপাশি এখন বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।
বিডা থেকে উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকে ফ্যাসিলেট ও প্রমোট করতে পারি আমরা। নবীন উদ্যোক্তাদের খুঁজে এনে তাদের জন্য ব্যবসার প্রশিক্ষণ দিতে পারি। পরে নিজেদের জেলায় গিয়ে তারাও অনেককে প্রশিক্ষণ দিতে পারবে।
এই গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার পরিচালক আনীর চৌধুরী, এটুআই ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।