বছর বছর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনা বাড়ছেই। ফেসবুকে ৫৩ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা ফাঁসের ঘটনা ফাঁসের পর ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। এরপর থেকে এই ঝড় যেনো ক্রমেই বেগবান হচ্ছে। এবার টুইটার, লিংকডইন ও ড্রপবক্স এর মতো প্রচলিত বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার ৬০০ কোটির বেশি ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নড়ে চড়ে বসতে শুরু করেছেন অনলাইনবাসী। নিজের তথ্য ফাঁস হয়েছে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এই উদ্বেগ যাচাই করতে সাইবার নিউজ কোম্পানি’র আছে ফ্রি ‘লিক চেকার’ টুল।
এই ফ্রি ‘লিক চেকার’ টুল ব্যবহার করে আপনার তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা জানা যাবে। বিশাল ফাঁস হওয়া ডেটাবেজে আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস থাকলে তা আপনাকে জানিয়ে দেবে। একই ধরনের আরেকটি সাইট হ্যাভআইবিন পন্ড। এখানেও ইমেইল দিয়ে জানা যাবে আপনার পাসওয়ার্ড ফাঁস হয়েছে কিনা? যদি আপনার ই-মেইল ফাঁস হয়ে থাকে তাহলে একটি সতর্ক বার্তা আসবে।
এছাড়াও আইডেন্টিটি (আইডি) চুরির বিষয়ে ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) কাছে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে 1-877-438-4338 নম্বরে রিপোর্ট করা যায়।
আপনার ই-মেইল ফাঁস হয়ে থাকলে সতর্কবার্তা পাওয়ার পরপরই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। একইসঙ্গে চালু করতে হবে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন। এখান থেকে সতর্ক বার্তা পাওয়া মানে শুধু এবার নয়, অন্য যে কোনো ঘটনায় আপনার ই-মেইলটি ফাঁস হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত. আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে ইন্টারনেটে অনেক ওয়েবসাইটে একাউন্ট তৈরি করতে হয়। আর এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটেই আমাদের ইমেইল এড্রেস অথবা ফোন নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কোন ব্যক্তির কাছে এতগুলো অনলাইন একাউন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকে আবার তাদের অনলাইনে তৈরি করা এতসব অ্যাকাউন্ট গুলোর কথা মনে রাখতে পারে না। এক্ষেত্রে, আমাদের অজান্তেই অনেক সময় নিজেদের ইমেইল এড্রেস অথবা ফোন নাম্বারটি অনলাইনে ফাঁস হয়ে যেতে পারে এবং আপনার তথ্য অন্য কেউ অ্যাক্সেস করতে পারে। যদিও, আপনার রেজিস্ট্রেশন করা অনলাইনে এসব একাউন্টের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু চিন্তা করতে হবে যে, আপনার ডেটাগুলো Breaches বা লঙ্ঘন হয়েছে কিনা। উদাহরণস্বরূপ দেখা যায় যে, আমাদের ছোট্ট একটি কাজের জন্য অনেক ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হয়। এরপর সেই ওয়েবসাইটটি একবার ব্যবহার করার পর, সেটিতে আর প্রবেশ করি না। আর সেই ওয়েবসাইটের কাজ শেষ হয়ে যাবার পর, আপনিও যুক্তিসঙ্গত-ভাবে সেই অ্যাকাউন্টটি আর মুছে দেন না। এক্ষেত্রে, আমাদের সেই তথ্যগুলো সেই ওয়েবসাইটে থেকেই যায়।