এবার বাংলাদেশে আগত পর্যটকদের জন্যও চালু হতে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট সিম। একটি নির্দিষ্ট ব্লকে এই সিম গুলো হবে ৭, ১৫ এবং ৩০ দিন মেয়াদী। আর একটি পাসপোর্টে সর্বোচ্চ দুটি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন পর্যটকরা। দেশে প্রবেশের যে কোনো বন্দর দিয়ে প্রবেশের সময় চাহিদা অনুযায়ী ই-সিমও সংগ্রহ করতে পারবেন তারা।
মোবাইল স্টেশন ইন্টারন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার ডিরেক্টরি নাম্বার বা এমএসআইএসডিএন এর মতো সীমিত রিসোর্সের অপচয় কামানো সহ বিদেশী নাগরিকদের জন্য বিশেষ টেলিসেবা দেয়ার সুযোগ করে দিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। এরইমধ্যে বিটিআরসি টুরিস্ট সিম চালুর বিষয়েপ্রয়োজনীয় নীতি-নির্দেশনাও তৈরি করেছে।
সূত্রমতে, প্রতিটি বিমান, স্থল ও নৌবন্দরসহ দেশের সব পোর্ট অব এট্রিতে বিটিআরসি অনুমোদিত অপারেটরগুলোর রিটেইলাররা এবং দেশের কাস্টমার কেয়ারগুলোতে ট্যুরিস্ট সিম নিবন্ধন করা যাবে। সেন্ট্রাল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্মে এ সিম আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে। নির্দিষ্ট ব্লকের বাইরে অপরারেটররা ট্যুরিস্ট সিম বরাদ্দ দিতে পারবে না। একইভাবে সীমিত মেয়াদ শর্তের কারেণে নিবন্ধনকৃত ওই সিম ৩০ দিন পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনিবন্ধিত হয়ে যাবে। ট্যুরিস্ট সিমের পরে যদি কোনো বিদেশীর দীর্ঘমেয়াদে সিম প্রয়োজন হয় তাহলে বিডার ওয়ার্ক পারমিটের বিপরীতে নিয়মিত নতুন সিম নিতে পারবেন। এখানে তার ব্যবহৃত ট্যুরিস্ট সিমের কোনো রূপান্তর করা যাবে না এবং দীর্ঘমেয়াদে ট্যুরিস্ট সিমের কোনো নম্বর নিতে পারবেন না।
অপরেদিকে বিদেশী বা পর্যটকের চাহিদার প্রেক্ষিত্রে নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বরে ট্যুরিস্ট সিম চালু’র পর নিয়মিত প্যাকেজের ভিন্ন অফার-প্যাকেজ দিতে পারবেন অপারেটররা। তবে এই সিমের জন্য করা প্যাকেজ-অফারে বিটিআরসির পূর্বানুমতি লাগবে। একইসঙ্গে দেশে-বিদেশে ডেটা, ভয়েস, এসএমএস এবং কম্বো প্যাকেজ ছাড়া আর কোনও প্যাকেজ অফার করা যাবে না।