দেশের একমাত্র নারী নেতৃত্বাধীন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) এসবিকে টেক ভেঞ্চারস ছয়টি নতুন স্টার্টআপে ৭১ লাখ মার্কিন ডলার (৮৫ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করেছে। এর আওতায় প্রতিটি স্টার্টআপ ১০ থেকে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার পাচ্ছে।
বুধবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসবিকে প্রযুক্তিগত স্টার্টআপ শুরুর ক্ষেত্রে ‘অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর’ হিসেবে বিনিয়োগ করে থাকে। তাদের বিনিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মার্কোপলো পেয়েছে ১৫ লাখ ডলার, সোলশেয়ার পেয়েছে ১১ লাখ ডলার, ফসল পেয়েছে ১০ লাখ ডলার, যাত্রী পেয়েছে ১৫ লাখ ডলার, আরোগ্য পেয়েছে ১০ লাখ ডলার, টেন মিনিট স্কুল পেয়েছে ১০ লাখ ডলার।
এসবিকে টেক ভেঞ্চারসের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং জেনারেল পার্টনার সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশীয় উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এবারে বিনিয়োগ করা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ মানুষদের সমস্যা সমাধান করবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমি আশাবাদী।’
বিনিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে এআই-চালিত অটোমেশন টুলস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘মার্কোপোলো’ বিক্রেতাদের ডিজিটাল কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য এআই-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ও অটোমেশন টুলস ব্যবহার করে ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিতে সাহয্য করে। নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোলশেয়ার’ অত্যাধুনিক পেটেন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্ট এনার্জি স্টোরেজ ও ডিস্ট্রিবিউশনে কাজ করছে।
এগ্রি-টেক স্টার্টআপ ‘ফসল’ কৃষক, কৃষি উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের কল্যাণে মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। প্রযুক্তিভিত্তিক মোবিলিটি সল্যুশন ‘যাত্রী’ বাংলাদেশের অপরিকল্পিত ও অস্থিতিশীল গণপরিবহন খাতের উন্নয়নে কাজ করছে। ‘আরোগ্য’ সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত ওষুধ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। টেন মিনিট স্কুল কে-১২ (কিন্ডার গার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট এডুটেক প্ল্যাটফর্ম, যার সুস্পষ্ট লক্ষ্য বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা।
এসবিকে চার বছর আগে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টিং এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্ট গঠনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে এসবিকের পোর্টফোলিওতে ৪৬টি স্টার্টআপ রয়েছে এবং ২০২০ সালে একটি স্টার্টআপ থেকে ১৭০০ শতাংশ (১০৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ বার্ষিক আরওআই) রিটার্ন নিয়ে অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টিং থেকে প্রথমবারের মতো সরে আসে (ফার্স্ট এক্সিট) প্রতিষ্ঠানটি।