করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের পর ২৩ দফা নির্দেশনা নিয়ে গত ২৩ জুলাই হতে শুরু হয় ১৪ দিনের ‘কঠোরতম’ লকডাউন। কিন্তু গণপরিবহন ও যাতায়াতে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ওই দিনও ঢাকা ছেড়েছেন ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭৯টি সিম ব্যবহারকারী। বিপরীতে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন ৮ লাখ ৮১ হাজার ১০৪টি সিম গ্রাহক। পরের দিন ঢাকায় ফেরা অর্ধেকে নেমে আসলেও ঢাকা ছাড়ার মিছিল ছিলো যথারীতি।
কঠোরতর লকডাউনের প্রথম দুই দিনে ঢাকা ছাড়ে ৯ লাখ ১৬ হাজার ৬০৪টি সিম গ্রাহক। আর প্রবেশ করেছেন ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫২টি সিম ব্যবহারকারী।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১ কোটি ১৪ লাখ ১১ হাজার ২৮৭ টি সিমকার্ড ব্যবহারকারী ঢাকা ছেড়েছেন। বিপরীতে ২২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই, এই তিনদিনে ঢাকায় প্রবেশ করেছে মোট ২১ লাখ ৮ হাজার ২৬৮টি সিম ব্যবহারকারী।
রবিবার (২৫ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঢাকায় প্রবেশ ও বাইরে যাওয়া সিমের হিসাব প্রকাশ করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সেখানে তিনি লিখেছেন, “মোবাইল সিমের ঢাকা আসা যাওয়ার সর্বশেষ পরিসংখ্যানটি একটু আগে পেলাম। মজার বিষয় হলো ২৪ জুলাই ঢাকা আসা অনেক কমেছে। তবে ঢাকা ছেড়ে যাওয়াও রয়েছে।”
পরিসংখ্যান বলছে, দেশের চারটি অপারেটরের মধ্যে গত ১৫ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত গ্রামীণফোন লিমিটেডের মোট ৫৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২টি সিম গ্রাহক ঢাকা ছেড়েছেন। ২২-২৪ জুলাই পর্যন্ত প্রবেশ করেছেন ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬টি সিম ব্যবহারকারী।
একই সময়ে রবির ২৪ লাখ ৪২ হাজার ১৫০টি , বাংলালিংকের ২৯ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৫টি এবং টেলিটকের ৪ লাখ ৮৮ হাজার ১৬০টি সিমকার্ড ব্যবহারকারী ঢাকার বাইরে গেছেন।
ফেরার হিসেবে, ঈদের পর থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত রবির ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৭টি , বাংলালিংকের ৫ লাখ ৭১ হাজার ৫০১টি এবং টেলিটকের ১ লাখ ৩ হাজার ৬৬৪ টি সিমকার্ড ব্যবহারকারী ঢাকায় ফেরত এসেছেন।
কঠোরতম লকডাউনের মধ্যেও ঢাকায় প্রবেশ ও রাজধানীতে ফেরারর এই পরিসংখ্যানকে আত্মঙ্কের বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই সিম ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা করানোর পর ‘কোয়ারিন্টিনে’ নেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।