চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনোভাইরাস। এতে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে পড়তে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রযুক্তি পণ্যের বাজারেও। কারণ বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের বাজার বিশেষ করে প্রযুক্তিপণ্য ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম প্রায় পুরোটাই নির্ভরশীল চীনের ওপর। চীনের নববর্ষের ছুটি ও করোনা ভাইরাসের কারণে টানা তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন। বন্ধ রয়েছে আমদানিও।
প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন কারখানা বন্ধ থাকায় কবে নাগাদ পণ্য বাজারে আসবে সে নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তাই প্রযুক্তি পণ্যে খুচরা বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রযুক্তি পণ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, মার্চের শুরুতেই পণ্য দাম অনেক বেড়ে যাবে। যেসব প্রতিষ্ঠান পণ্য আমদানি করে থাকে তারা এখনো পণ্যে দাম বাড়ায়নি। তবে খুচরা বাজারে পণ্যে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে মঙ্গলবার (১৮ ফ্রেরুয়ারি) গিয়ে দেখা যায়, আমদানি করা প্রযুক্তির সকল পণ্যে দাম বেড়েছে। র্যাম, হার্ডডিস্ক, এসএসডি হার্ডডিস্ক, মনিটর, পেনড্রাইভ, রাউটার, মেমরি, হেডফোন, মাদারবোর্ড, মাউস, স্পিকার ক্যামেরাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ।
কম্পিউটার ভিলেজের বিক্রয় প্রতিনিধি রুবেল ডিজিবাংলাকে বলেন, প্রায় সব পণ্যের দামই বেড়েছে। যেমন, ১২০ জিবি এসএসডি হার্ডডিস্কের দাম ছিল ২হাজার টাকা, এখন সেগুলো ২৫০০-২৬০০ টাকা। ৩২ জিবি পেনড্রাইভের দাম আগে ছিল ৪০০ টাকা এখন তা ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। মনিটরের দাম আগে যেগুলো ছিল ৬ হাজার সেগুলোর দাম এখন ১০ হাজার টাকা।
মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত স্টার টেক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর শো-রুমে কর্মরত বিক্রয় প্রতিনিধি সাদ্দাম ডিজিবাংলাকে জানান, এখনো প্রযুক্তি পণ্যে দাম আমাদের প্রতিষ্ঠানে বাড়েনি। কারণ আমরা আমদানি করি আমাদের এখনো স্টক রয়েছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, মার্চের শুরুতেই প্রযুক্তি পণ্যে দাম বেড়ে যাবে।
ফ্লোরা লিমিটেড এর বিক্রয়কর্মী মো: রেজাউল ডিজিবাংলাকে জানান, ল্যাপটপ এর মতো ফিনিস পণ্যেগুলোর দাম এখনো বাড়েনি। বেড়েছে এক্সেসরিজ পণ্যেগুলোর। যেসব পণ্য সরাসরি আমদানি করা হয়, সেগুলো সহসাই বাড়বে না। তবে যারা খুচরা বিক্রয় করে, তাদের কাছে দাম বেড়েছে। যেমন, আগে যে পণ্যের দাম ৫০০ টাকা ছিল এখন সেই পণ্য বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।