দেশে ইন্টারনেটের উৎপাদনমুখী ব্যবহার বাড়াতে ব্যবহারকারীদের কম খরচে ইন্টারনেট সেবা দিতে পঞ্চম প্রজন্মের লাইসেন্স চাইছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) । দু’ বছরের মধ্যে সুপারফাস্ট সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি চালু করতে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নেই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আবেদন করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে ৫জি লাইসেন্স গাইড লাইসেন্সে এই সুযোগ রাখার আবেদন করা হয়েছে।
সদস্যদের নিয়ে একটি কনসর্টিয়াম গঠন করে এই লাইসেন্স নেয়ার পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেছেন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক। তিনি বলেন,বাংলাদেশে ৫জি শীর্ষক সেমিনারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রস্তাব করেছিলাম। পরবর্তীতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ভাইয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেই বিটিআরসি-তে চিঠি দিয়েছি।
তিনি জানিয়েছেন, এই আবেদনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে কমিশন এবং মন্ত্রণালয়। এখন মোবাইল অপারেটররা বাগড়া না দিলেই আমরা এই লাইসেন্স পেতে কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে বিটিআরসি’র ৫জি গাইডলাইন প্রণয়ন কমিটির সূত্রে জানা গেছে, কমিশন আইএসপিএবি-র প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকেই দেয়া হবে। সরকারের সবুজ সঙ্কেত পেলেই গাইডলাইনে লাইসেন্স প্রদানের অবকাশ রাখা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। জানাগেছে, কারিগরি মূল্যায়ণ কমিটি যদি মনে করে, আইএসপিগুলো সুষ্ঠুভাবে সেবা চালাতে পারে, তাহলে তাদের লাইসেন্স দিতে কমিশন কোনো বাধা সৃষ্ট করবে না।
লাইসেন্স পেলে কীভাবে তা ব্যবহার করা হবে প্রশ্নের জবাবে আইএসপিএবি মহাসচিব বলেন, লাইসেন্স পেলে আমরা সবচেয়ে কম দামে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে ৫জি সেবার টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এজন্য বিদ্যমান নেটওয়ার্ক টপোলজির মধ্যে কয়েক শতাধিক বেস স্টেশন স্থাপন করারও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আর এই ব্যয় নির্বাহে একটি কনসোর্টিয়াম গঠনে ইতিমধ্যেই সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তাও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রমতে, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রকাশিতব্য ৫জি গাইডলাইনে ব্রডব্যান্ড ব্যবসায়ীদেরও ব্যবসায়ের সুযোগ অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে।