আমেরিকার “প্রিয় পে” অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশের “আইপে“-তে রিয়েল-টাইম ডলার থেকে টাকা আনার পদ্ধতিটি পরীক্ষামূলকভাবে সফল হয়েছে। ফলে এখন একজন গ্রাহক একটা ক্লিক করেই আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে টাকা আনতে পারবেন।
রবিবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রিয় প্রধান জাকারিয়া স্বপন। এসময় আইপে (বাংলাদেশ) চালু করতে গিয়ে পার্টনার নির্বাচনে পূর্বের ভুল স্বীকার করেন তিনি।
ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদনে দিনে ফিনটেক খাতে এই সুসংবাদ দিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যারা আমেরিকাতে কাজ করেন, ডলার উপার্জন করেন তাদেরকে অ্যাকাউন্ট দেয়ার অনুমতি নিলাম। দেশে টাকা আনা নিয়ে তাদের কত অভিযোগ। ভাবলাম, এই সমস্যাটার একটা ভালো সমাধান বের করা যায় কি না! সেটা বাস্তবায়ন করতে লেগে গেল বছর খানিক। অনেকেই ইতোমধ্যেই প্রিয়-পে ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
তবে এর পেছনে নিজের পুত্রসম ভালোবাসার কথা তুলে ধরে জাকারিয়া স্বপন বলেন, অনেকের কাছেই বিষয়টি তেমন আর কি! তবে যারা ক্রস বর্ডার নিয়ে কাজ করেন তারা জানেন, এর মাটির নীচে কত কিছু! ব্যাংক-টু-ব্যাংক, আমেরিকার ব্যাংকিং আইন, আমেরিকার ব্যাংক সিক্রেসি অ্যাক্ট (বিএসএ), বাংলাদেশের ব্যাংকিং আইন, মানি লন্ডারিং, টেররিষ্ট ফাইনান্সিং ইত্যাদি হাজারো বিষয়! তবে আমার কাছে এটা অনেক বড় একটি বিষয় এই জন্য যে, দুই পাশের পুরো সিস্টম-দুটোই আমাদের তৈরী করা। এটার ডিজাইন থেকে শুরু করে পুরো প্রডাক্ট – সবই আমরা বানিয়েছি। বাংলাদেশের ব্য্যাংক খাতের বেশিরভাগ সফটওয়্যার এবং সিস্টেম বিদেশ থেকে আনা হয়। আমরা যেহেতু পুরোটাই বানিয়েছি, তাই আমাদের কাছে এটা একটা বাচ্চা জন্ম দেয়ার মতোই বিষয়। এটা যারা করেন নি, তাদেরকে ঠিক বুঝানো যাবে না।’
‘মূল পরিকল্পনায় সবসময়ই ছিল, কবে বাংলাদেশকে কানেক্ট করবো। আজ সেই স্বপ্নটুকু পূরণ হলো। প্রিয়-পে থেকে রিয়েলটাইমে আইপে-তে টাকা আনার বিষয়টি এখনও বানিজ্যিকভাবে চালু হয়নি। তবে আশা করছি, এটাকে শীঘ্রই বানিজ্যিকভাবে চালু করা যাবে’-যোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাস্ট্রে বাংলাদেশী উদ্যোক্তার তৈরি প্রিয়-পে একটি ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা। এর পেছনে রয়েছে আমেরিকার ১০০ বছরের বেশি পুরোনো একটি ফিজিকাল ব্যাংক। তার সাথে যুক্ত হয়েছে মাস্টারকার্ড।