মহাকাশে ১৫ বছর কাটানোর পর অবসরে যাচ্ছে নাসার এইম নামের মহাকাশযান। ‘এইম’-এর পুরো নাম ‘অ্যারোনমি অফ দ্য আইস ইন দ্য মেসোস্ফিয়ার’। নিশাচর বা রাতের চকচকে বিভিন্ন মেঘ নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে এই মিশন চালু করে নাসা।
ভূপৃষ্ঠের ৫৯৫ কিলোমিটার ওপরের বিন্দুতে থাকা মহাকাশযানটি বিজ্ঞানীদের কাছে ‘অমূল্য’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের উল্লেখ রয়েছে তিনশ ৭৯টি গবেষণাপত্রে। যেখানে উঠে এসেছে মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মিথেন নিঃসরণে রাতের উজ্জ্বল মেঘ আরো ঘন ঘন গঠিত হচ্ছে। এই গবেষণাটি ২০১৮ সালের।
এমন দারুণ সব তথ্য দেয়ার পরও স্পেসক্রাফটটির ব্যাটারির সক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ায় এর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হচ্ছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-কে। ব্যাটারিতে আরেকটি গোলযোগ দেখা দেয়ার পর নাসা বলছে, এইম প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। রিবুটের প্রত্যাশায় মহাকাশযানটি আরো দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখবে এইম মিশনের দল। তবে নাসার পোস্ট থেকে ইঙ্গিত মিলছে, সংস্থাটি এই বিষয়ে তেমন আশাবাদী নয়।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট জানিয়েছে, নাসায় দীর্ঘ সময় ধরে সেবা দেওয়া আরেক মহাকাশযানকে অনুসরণ করেছে এইমের এই সমাপ্তি। প্রায় চার দশক পৃথিবীর ওজোন ও বায়ুমণ্ডলীয় পরিমাপ সংগ্রহ করা আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইটের কার্যক্রমও বন্ধ করেছে সংস্থাটি।