আগামী সময়ে, স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে ইলেকট্রনিক ট্যাটু। জৈব প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে এই ট্যাটুগুলি তৈরি করছে ক্যাওটিক মুন (CHAOTIC MOON) নামে একটি সংস্থা; যার কারণে বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে স্মার্ট ফোন। এমন চ্যালেঞ্জের কথাই জানিয়েছেন, মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং নোকিয়া’র সিইও পেক্কা লুন্ডমার্ক।
অতিমারির সময়েও অবশ্য নতুন মহামরি বিষয়ে সতর্ক করতে গিয়ে নতুন প্রযুক্তি স্মার্টফোন প্রযুক্তিকে গিলে ফেলবে বলে সতর্ক করেছিলেন বিলগেটস। আর এবার তিনি জানালেন, পরিধেয় প্রযুক্তির স্বাস্থ্য বান্ধব সেই প্রযুক্তিটি হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক বা বায়োটেক ট্যাটু। তিনি বলেছেন, আপাতত এই ট্যাটুগুলির মাধ্যমে, মানবদেহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার কারণে এগুলি বর্তমানে খেলাধুলা এবং চিকিৎসা লাইনে ব্যবহৃত হয়। ট্যাটুগুলি নিয়ে আরো নানান ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। আগামী সময়ে, ইলেকট্রনিক ট্যাটু স্মার্ট ফোনের জায়গা নিতে পারে, যার কারণে স্মার্ট ফোনগুলি বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
বিল গেটসের কথায় সায় দিয়েছেন নোকিয়ার সিইও পেক্কা লুন্ডমার্কও। স্মার্ট ফোনের অদৃশ্য হওয়ার বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ২০৩০ সাল নাগাদ শুরু হবে ৬জি। এবং সেই সময়ে স্মার্ট ফোন তার সাধারণ ইন্টারফেসে থাকবে না। মোবাইল ফোনের জায়গায় স্মার্ট চশমা বা অন্য কোনো ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হবে, যা সরাসরি আমাদের শরীরের সাথে কানেক্টেড হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এই ট্যাটু আমাদের জীবনকে আবার পুরোপুরি বদলে দেওয়ার কাজ করবে।