নতুন কৃষি প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্মার্ট ফার্মিং ও সম্মিলিত ফার্মিং-এর নতুন কৌশল নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম স্মার্ট কৃষি উদ্যোক্তা প্লাটফর্ম স্মার্ট এগ্রিকালচার ফর ফার্মার্স অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউর(SAFE-সেফ)। আর এই উদ্যোগের লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের সহধর্মিনী আরিফা জেসমিন কনিকা শুরু করলেন স্মার্ট উদ্যোক্তা জীবন।
সূত্রমতে, এর আগ পর্যন্ত পুরো বিষয়টিই তিনি প্রকাশ করেননি। প্রতিমন্ত্রী যখন গুলশানে অন্য একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত তখন জীবনসঙ্গীকে চমকে দিতে উদ্বোধনের ভিডিও পাঠান ফোনে। এই উ্যদ্যোগের সহপ্রতিষ্ঠাতা উই প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা।
কৃষি খাতে আগ্রহী ব্যক্তিদের সক্ষমতা উন্নয়নের এই প্ল্যাটফর্মটির লোগো উন্মোচন করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। বুধবার রাতে মিন্টোরোডে মন্ত্রীর কার্যালয়ে এই উদ্যোগটির লোগো উন্মোচন করেই সেই ছবি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীকে পাঠান তার স্ত্রী। নিজ যোগ্যতায় তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্পর্কে জেনে এই উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশের কৃষিখাতকে আরোও সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য এটা খুবই ভালো একটা উদ্যোগ। তাই কৃষি মন্ত্রণালয় SAFE এর পাশে আছে, এটার সাথে কাজ করবে।
উদ্যোগটির প্রতিষ্ঠাতা আরিফা জেসমিন কনিকা বলেন, নিরাপদ কৃষিখাত কে আরো কিভাবে টেকসই করা যায়,কিভাবে আগানো যায় এবং বাংলাদেশের মানুষকে আরো কিভাবে কৃষি-কে শিল্প পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই দিকটায় আলোকপাত করবেন তারা।
সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, বাংলাদেশের যুব এবং নারীদেরকে কৃষিখাতে আরো স্বয়ংক্রিয়ভাবে আনার জন্য আমরা SAFE থেকে কাজ করবো এবং এটা নিয়ে তাদের বিভিন্ন রকম সাপোর্ট দিয়ে পাশে থেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেফ “কৃষি/ফার্মিং আইডিয়া” নিয়ে বড়ভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশ এখন আইটি/আইটিইএস সেক্টরে তার সক্ষমতা বিকাশ ও প্রসারিত করছে, কিন্তু বাংলাদেশ মূলত একটি কৃষিপ্রধান দেশ। তাই প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পাশাপাশি, স্মার্ট ফার্মিং ও আমাদের আবাদি জমির উপযুক্ত ব্যবহারই আমাদের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও এগিয়ে নিতে সক্ষম। যারা কৃষি খাতে কাজ করতে চায় এবং কৃষি উদ্যোক্তা হতে চায়, SAFE (Smart Agriculture for Farmers and Entrepreneurs) তাদের জন্য স্মার্ট ফার্মিং বা কৃষির (সবজি চাষ, গবাদিপশু পালন, পোলট্রি ফার্মিং এবং অর্গানিক ফার্মিং) নতুন আইডিয়া নিয়ে আসবে এবং শেয়ার করবে। নতুন কৃষি প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্মার্ট ফার্মিং ও সম্মিলিত ফার্মিং-এর নতুন কৌশলগুলো SAFE (Smart Agriculture for Farmers and Entrepreneurs) কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য নিয়ে আসবে। যার ফলে আমরা কম সম্পদ ব্যবহার করে বেশি উৎপাদন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন উদ্যোক্তারা। এজন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার কাজও করবেন উদ্যোক্তারা।