নার্গিস আক্তার এবং তার ৭ বন্ধু তাদের অনলাইন উদ্যোগ ‘তারামেলা’র অধীনে ঘরে তৈরি খাদ্য পণ্য যেমন ঘি, পিঠা, মাখন, সরিষার তেল ইত্যাদি বিক্রি করতে চট্টগ্রাম থেকে আসেন। নাসরিন বলছিলেন, এই মেলাতেই একজন বিক্রেতা হিসাবে গ্রাহকদের সাথে তার প্রথম সরাসরি যোগাযোগ হয়েছে। এর আগে শুধুমাত্র অনলাইনে তারা পণ্য বিক্রি করত। এই মেলা তাকে সরাসরি বিপণনের অভিজ্ঞতা দিয়েছে এবং গ্রাহক ও বাজার পরিচালনার বিষয়ে আরও অনেক তথ্য দিয়েছে।
“আমি আই প্রকল্পের প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা থেকে যা শিখেছি তা প্রয়োগ করতে পেরেছি এখানে। এই মেলা আমাকে সবচেয়ে ভালো উপায়ে ব্যবসায়িক উদ্যোগ বুঝতে সাহায্য করছে”- যোগ করেন তিনি।
বেকারত্ব দূর করতে কার্যকর সমাধান হিসেবে এমন বেশ কিছু ব্যবসায়ীক উদ্যোগ নিয়ে গুলশানে হয়ে গেলো ‘তরুণ উদ্যোক্তা মেলা’।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর গুলশান কার্যালয়ের আঙিনায় দুই দিনব্যাপী (গত ১৪-১৫ জুন) এই মেলায় বসেছিল ১৪ টি স্টল। ১৪টি স্টলের প্রতিটিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ১৪টি ব্যবসায়িক উদ্যোগের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয় যেখানে হস্তশিল্প, কারুপণ্য, আঞ্চলিক খাবার ও পোশাক ইত্যাদি ছিল। প্রতিটি উদ্যোগই সেভ দ্য চিলড্রেন এর এডুকেশন ফর ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট (আই) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসা উন্নয়নে সহায়তা পেয়েছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে যুক্ত হতে এবং কেনাকাটা করার মাধ্যমে তাদের উদ্যোগকে সমর্থন দিতে মেলা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এর কমিউনিকেশন এন্ড মিডিয়া কোঅরডিনেটর সাজিয়া আফরিন জানালেন, মেলার উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তাদের পণ্য প্রদর্শন এবং তাদের ব্যবসার প্রচারের সাথে সাথে আয়ের সুযোগ তৈরি করা।
তিনি আরো জানান, বাজার-সংশ্লিষ্ট বৃত্তিমূলক দক্ষতা প্রশিক্ষণ, জীবন দক্ষতা এবং কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ প্রদান করে সেভ দ্য চিলড্রেন এর এডুকেশন ফর ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট (আই) প্রকল্প ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তরুণদের ক্ষমতায়িত করে আসছে। আই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল উদ্যোক্তা উন্নয়ন, যেখানে প্রান্তিক তরুণদের উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উন্নয়ন, পরামর্শদান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ তৈরি করে দেয়া।